নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : মাদক মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার করে একজন নিরপরাধ থাকায় হাইওয়ে এসপি তাকে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেয়ার পরও ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়ে বাকি ৩ আসামির নিকট থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে কাচঁপুর হাইওয়ে থানার এসআই শফিকুল ইসলাম শফিকের বিরুদ্ধে। গোপনসূত্রের ভিত্তিতে জানা যায়, কিছুদিন আগে কাচপুর হাইওয়ে থানার ওসি কাইয়ুম আলী সরদার,টিআই জাহাঙ্গির আলম,ওসি তদন্ত আলী রেজার নেতৃতে ¡ সার্জেন্ট পঙ্কজ, এসআই আলিম,এ এসআই কুদ্দুস ফকির সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে প্রথমবার ৮৬ কেজি দ্বিতীয়বার ৭০ কেজি গাজা ভর্তি ২টি পিকাপ ও একজনকে গ্রেফতার করেন।
পরবর্তিতে গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে কুমিল্লা এলাকা থেকে মো. নুরুল হক,মো. বিল্লাল হোসেন ও তাদের সহযোগী ২ জনসহ মোট ৪জনকে গ্রেফতার করেন এসআই আলিম ও এসআই শফিক।গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল হোসেন নির্দোষ থাকায় হাইওয়ে এসপি তাকে ছেরে দেয়ার নির্দেশ দেন, কিন্তু এসপির কথা অমান্য করে এবং ওসিকে না জানিয়ে নির্দোষ বিল্লালকে চোখ বেধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছেরে দেন এসআই শফিক।বাকি ৩ জনকে সহজ মামলা দিয়ে চালান দেয়ার নাম করে ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন এসআই শফিক।
এ ব্যাপারে বিল্লাল হোসেন,পিতা:আনু মিয়া,সাং:উঠনোপুর,থানা:কতোয়ালী,জেলা:কুমিল্লা তার সাথে (০১৯০৩৭৪২৫৭৩ ) এই নাম্বারে কথা বলার সময় সে জানায়,আমি একজন প্রবাসী,রাস্তায় হাটা অবস্থায় কাচঁপুর হাইওয়ের এসআই শফিক আমাকে সন্দেহাতীত গ্রেফতার করার পর এসপি সাহেব তদন্ত করে আমার কোন অপরাধ না পেয়ে আমাকে ছেরে দিতে বলেন,এসপি চলে যাওয়ার পর আমাকেসহ ৪ জনের চোখ বেধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আমার পরিবারের নিকট থেকে ১ লক্ষ টাকা এবং অন্য ৩ জনের নিকট থেকে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে আমাকে ছেরে দেন,আমি বহুবার বলেছি যে আমি নির্দোষ আমি কেনো টাকা দেবো?এসআই শফিক আমাদের চোখ বেধে বলে যে, আজকের মধ্যে টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলবো,তাই প্রাণ বাচাতে আমার পরিবারের লোক এসে টাকা দিয়ে আমাকে ছারিয়ে নেন।
এ বিষয়ে হাইওয়ে এসপি শফিকুল ইসলাম বলেন,মাদকদ্রব্য আটকের পর ড্রাইভারের জবানবন্দি অনুযায়ী পরবর্তিতে ৪ জনকে গ্রেফতার করলে আমি ঐদিন রাতেই কাচঁপুর হাইওয়ে থানায় এসে আসামিদের জবানবন্দি এবং পুলিশের কথা শুনে জানতে পারি বিল্লাল হোসেন একজন নীরিহ ব্যাক্তি,অন্যান্য আসামিদের ধরার সময় সে ঐ রাস্তায় থাকায় তাকে সন্দেহাতীত ভাবে পুলিশ ধরে নিয়ে আসেন,তাই আমি এসআই শফিককে নির্দেশ দেই তাকে ছেরে দিতে,কোন টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমার জানা নেই,তবে বিষয়টি আমি অবশ্যই খতিয়ে দেখবো।
অন্যদিকে বাকি আসামীদের কোর্টে চালানের সময় কন্সেটবল মোস্তফা,হারুন এর সামনে উৎকোচের ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা থেকে এসআই আলিমকে মাত্র ৫ হাজার টাকা দেওয়াতে এসআই শফিকের সাথে হাতাহাতি হয়।নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী ও পুলিশ সদস্য জানান,থানার ওসির নাম করে কাচঁপুর,চিটাগাংরোড,মোগড়াপাড়া,মেঘনা,কেওঢালা এলাকার প্রায় ৩০ টি মেয়াদোত্তীর্ন ট্রাক(বেডফোর্ট) মাসিক প্রায় লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করছে এসআই শফিক।এ ব্যাপারে এআই শফিক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বিকার করেন।তাছাড়া হাইওয়ে থানার উৎকোচের টাকার ক্যাশিয়ার ও সামারিবাজ হিসেবে ব্যাপক পরিচয় রয়েছে এসআই শফিকের।