নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : জাতীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ বলেছেন, আমি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন চাইবো, এখানে আমার দল থেকে আরো অনেকে আছেন। বিএনপিও আছে। ফলে আমার বিপরীতে প্রতিযোগিতায় যারা আছে তারাই একের পর এক আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করতে পারে বলে মনে করি। রাজনীতি করতে গেলে ভুল ত্রুটি থাকবেই, আমি মানুষ। এটা সাংবাদিকরা ধরিয়ে দেবেন এটা আপনাদের কাজ।
বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় (এক পলাশেই সর্বনাশ, নারায়ণগঞ্জে শ্রমিকলীগের নামে তান্ডব, চাঁদার জন্য ৩৬ শিল্প কারাখানা বন্ধ, এলাকা ছাড়ছেন ব্যবসায়ীরা) শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।৭ মে সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে পলাশ বলেন, এমপি শামিম ওসমান সাহেব আমার রাজনৈতিক বড় ভাই। বড় ভাই ছোট ভাইয়ের যে সম্পর্ক আমাদের সম্পর্ক তেমনি। ছাত্রলীগ করা কালে আমার নেতা ছিলেন। শামীম ওসমান আমার সিনিয়র লিডার।
সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ফেডারেশনে নারায়নগঞ্জ শাখার আহবায়ক শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু, ফতুল্লা আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, আবুল খায়ের প্রমুখ।
তিনি আরও বলেন আমি দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, আমি কোনো ধরনের অপরাধী কর্মকান্ডের কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সাথে জড়িত না। আমি শ্রমিক রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি। শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। আমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে আমি প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। প্রতিবাদ করেই যাবো। অপপ্রচার করে আমাকে থামানো যাবে না। আল্লাহ ছাড়া কেউ আমার কন্ঠরোধ করতে পারবে না।
পলাশ বলেন, রাজনীতি করতে গেলে এ ধরনের পক্ষে বিপক্ষে কম বেশি লেখালেখি হয়। বিশেষ করে জানুয়ারির ২৮ তারিখের পর থেকে যখন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের সাহেব নারায়ণগঞ্জের সফর বিরতীতে আমার বাড়িতে বিশ্রাম নেন। এই ঘটনার পর থেকেই কিছু প্রতিপক্ষ তৈরী হয়ে গেছে যারা সংবাদমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।
গত মাসে কিছু পত্রিকায় আপনার বিরুদ্ধে লেখালেখি হয় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কিন্তু ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ যখন খবর প্রকাশ করলো তখন মামলা করা হয়নি কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, বিগত মাসে যে সংবাদগুলো প্রকাশ হয়েছিল, তাতে আমাকে (গডফাদার) উল্লেখ করা হয়েছে। তাই মামলা করেছিলাম। কিন্তু এবারে তেমন কিছু বলা হয়নি তাই মামলা এখনো করিনি। তাছাড়া এটা নিয়ে আমি ভাবছি, প্রতিবাদ লিপি পাঠিয়েছি এবং আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছি আইনী পদক্ষেপের ব্যাপারে। আর সকলের বিরুদ্ধে মামলা করিনি যারা সুনির্দিষ্ট ভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
পলাশ বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত সংবাদে ৩৬টা গার্মেন্ট বন্ধ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮টির নাম দেয়া আছে। আর বাকীগুলার নাম নাই। যে ৮ টির নাম দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে ২০১৪ সালে পাইওনিয়র সুইডার যারা তারা কারখানা স্থানান্তর করে নিয়ে গেছে ময়মনসিংহের ভালুকাতে। আর বাকি যেগুলা আছে সব চালু। এতেই প্রকাশিত সংবাদের মিথ্যাচার প্রকাশ পায়।