নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : এবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারীর ওয়াজ মাহফিলে রাজু চন্দ্র সরকার নামে এক হিন্দু যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নে পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ যুব সংগঠন ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে মাওলানা আজহারীর কাছে কালেমা পড়ে রাজু চন্দ্র সরকার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম রাখা হয় নূর মোহাম্মদ।
এ সময় নওমুসলিম নূর মোহাম্মদ বলেন, আমি রিসার্চ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। কিন্তু আমি চাই না আমার কারণে আমার বাবা-মা কষ্ট পাক। আমি চাই না কেউ আমার বাবা-মা কে এ ব্যাপারে কিছু বলুক। অর্থাৎ আমি কেন ইসলাম গ্রহণ করেছি। আমি এমনি এমনি আসিনি, ইসলাম সম্পর্কে রিসার্চ করে এসেছি। আমি মিজানুর রহমান স্যারের অনেক বড় ভক্ত। আমি তার হাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। আমি আজকে অনেক রিস্ক (ঝুঁকি) নিয়ে এখানে এসেছি।
মাহফিলে ফিরোজ মিয়া নামে এক আইনজীবী নূর মোহাম্মদের দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমি নূর মোহাম্মদের দায়িত্ব নিলাম। আমি আমার সহযোগী মুহুরি হিসেবে তাকে নিলাম।
এর আগে গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমিয়া মাদরাসার ১৩তম ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর সঙ্গে কালেমা পড়ে রনি কুমার দাস নামে এক হিন্দু যুবক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বন্দরের এই মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিতর্কিত তামিম বিল্লাহসহ তার অনুগামীরা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এতে দুই গ্রুপের মধ্যেকার উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থাকে কেন্দ্র করে পুলিশ প্রশাসন আজহারীর মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে শর্ত সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় রাতে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দুইদিন ধরে টান টান উত্তেজনার পর শেষ সময়ে শর্ত সাপেক্ষে আজহারীর মাহফিলে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার খবরে মাহফিলের দিকে জনস্রোত শুরু হয়ে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে রাত সাড়ে ৯টা হতে প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময়ে ধরে ইসলামি বয়ানে সকলকে উজ্জীবিত রাখেন মাওলানা আজহারী।
তিনি বলেন, এই ওয়াজ মাহফিলে জন্য পুলিশ ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করেছে। এ থানার ওসি সাহেব উনি ওনার প্রটোকল দিয়ে আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। এছাড়া আপনাদের এলাকার চেয়ারম্যান সারাদিন অনেক কষ্ট এই প্রোগ্রামটা এনসিউর (নিশ্চিত) করেছেন। বিশেষ করে এই আসনের এমপি সেলিম ওসমান খুব খোঁজখবর নিয়েছেন এই প্রোগ্রামের ব্যাপারে।