নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদ দাতা ) : ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী শীর্ষক আলোচনা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১ আগস্ট শুক্রবার সকাল ১১ টায় বন্দর ইউনিয়নস্থ মিরকুন্ডি বালুচর এলাকায় এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পূর্বক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজিম উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পশ্চিমা শাষক গোষ্ঠী। বিদেশীদের চক্রান্তে ষড়যন্ত্রকারীরা এই ঘৃন্য অধ্যায় তৈরী করেছিল। ওরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই বাংলাদেশের মানচিত্র উল্টে যাবে। কিন্তু ওরা জানে না বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। এক মুজিব লোকান্তরে হলেও লক্ষ মুজিব বাংলার ঘরে ঘরে তৈরি হবে। আমি এই ঘৃন্য হত্যাকান্ডে জড়িত বিদেশের মাটিতে লুকিয়ে থাকা অবশিষ্ট খুনিদের বাংলাদেশে এনে মৃত্যুদন্ড কার্য্যকর করতে কেন্দ্রীয় আ.লীগের উধ্বর্তন নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহিদদের আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।
প্রধান আলোচক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন বলেন, সেই আগস্টেরই ১৫ তারিখে বাংলার রাখাল রাজা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে ওরা একটি পশ্চিমা শাষক গোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্র তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু মুজিব ভক্ত বাংলার জনগন তা মেনে নেয়নি। মুজিব হত্যার বিচার বাংলার মাটিতেই হয়েছে। অবশিষ্ট খুনিদের বিচারও আমরা অচিরেই দেখতে পাব। মানবতাবাদী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুচারু নেতৃত্বে বাঙ্গালী জাতি মাথা উচু করে বাচতে শিখেছি। মানুষ এখন উন্ননের সুফল ভোগ করছে। তবে আমাদের খুব সাবধান থাকতে হবে। এখনও আমাদের আশেপাশে ঘুরে বেরাচ্ছে মোস্তাকের প্রেতাত্নারা। ১৬ বছর পূর্বে ২০০৪ সালেও আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা হয়েছি। ভাগ্যক্রমে আমার নেত্রী বেঁচে যায়। আল্লাহ যাকে বাঁিচয়ে রাখে তাকে কেউ মারতে পারেনা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে ঘাতকরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বাংলাদেশকে একটি তাঁবেদার রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করেছিল। কুচক্রীদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তাই ওরা জঙ্গিবেশে গুপ্তহত্যা চালিয়ে দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে চাইছে। শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে তাঁর হাতকে আরো শক্তিশালী করার জন্য সব কিছু ভুলে এক সাথে কাধেঁ কাধ মিলিয়ে কাজ করার আহবান জানাই। না.গঞ্জে আমার প্রাণ প্রিয় নেতা একেএম শামীম ওসমানকেও নিয়েও কেউ কেউ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমি তাদের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই দয়া করে আপনারা জেনে বুঝে কথা বলবেন। না.গঞ্জের মানুষকে ওসমান পরিবারই একমাত্র পৃথিবীর মানচিত্রে পরিচিত করেছে। উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। এমন মানবতাবাদী পরিবার আমি কখনো দেখিনি। সর্বোপরি এমপি সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের দীর্ঘায়ু কামনাসহ সকল শাহীদদের আত্নার শান্তি কামনা করছি। পরে গ্রেনেড হামলায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং যারা আহত হয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান নেতৃবৃন্দ।
মহানগর স্বেচ্ছসেবক লীগ নেতা সাফিকুল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বন্দও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালিমা হোসেন শান্তা, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম কাশেম, আ.লীগ নেতা ও সমাজ সেবক মোজাম্মেল হক, হাজী কামরুল হাসান জজ, জামাল উদ্দিন মেম্বার, মো. হিরন মিয়া, মাহাবুবুর রহমান, থানা যুবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন, আব্দুল খালেক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক আল আমিন, সহ-প্রচার সম্পাদক উজ্জল দে, সহ দপ্তর সম্পাদক রকিবুল হাসান রেসিন, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক সজিব মোল্লা, শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক এ্যামি আহমেদ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ মামুন, সদস্য জসিম খন্দকার, আবু ছিদ্দিক বাবু, মো. সুমন, মো. সুমন, চান্দু, মানবাধিকার কর্মী জনি ভেন্ডার, মো. আবুল কালাম, অমির হোসেন, রোকন, সালেহ আহমেদ, মো. পায়েল, হাবিবা আক্তার পান্না মেম্বার প্রমূখ। পরিশেষে বন্দর উপজেলা আ.লীগের সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেনসহ নেতৃবৃন্দরা দুস্থ্যদের মাঝে রান্না করা খিচুরী বিতরণ করা হয়।