নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (বন্দর প্রতিনিধি) : বন্দরের উত্তরাঞ্চল তথা মদনপুরে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরোধের জের ধরে সংঘঠিত এক ডজন হত্যাকান্ডের একটিরও বিচার হয়নি। এরমধ্যে কয়েকটি মামলা সিআইডিতে স্থানান্তর হলেও ১০ বছরেও তদন্ত শেষ হয়নি। ২০ সেপ্টেম্বর সিআইডিতে স্থানান্তরিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কামুর বোন রেহেনো হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে মদনপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কাবিলা। কাবিলা গ্রেফতারের পর তার অন্যতম সহযোগী কুখ্যাত খলিল মেম্বারসহ অন্যান্যরা আত্মগোপনে চলে গেছে। দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনীর খুনোখুনিতে এক ডজন নর-নারী নিহত হলেও একটিরও বিচার না হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, বন্দর থানার মদনপুর তথা উত্তরাঞ্চলে ২০০২ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত এক ডজন খুনের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে অন্যতম নুরা-বাবুল জোড়া হত্যা মামলা, বাতেন ভেন্ডার হত্যা মামলা, লাঙ্গলবন্দের কালু হত্যা মামলা, একই এলাকার মহসিন হত্যা মামলা, নিলুফা, রেহেনা দুই বোন হত্যা মামলা, দেলোয়ার হত্যা মামলা, সুরত আলী হত্যা মামলা অন্যতম আলোচিত ছিলো। বন্দর থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এসব মামলার একটিরও নথিপত্র থানা পুলিশের কাছে নেই। সম্প্রতি রেহেনো হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট থানায় এলে ধামগড় ফাঁড়িকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ধামগড় ফাড়ির এসআই মাজহার সাহসিকতার সাথে হত্যা মামলার আসামী কাবিলাকে গ্রেফতার করে। স্থানীয়রা আরও জানায়, মদনপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী তৎকালীন সময়ের ৬৪ মামলার আসামী কামরুজ্জামান কামু ও গ্যাং লিডারখ্যাত ৪৫ মামলার আসামী ছিলো সুরত আলী। দুই বাহিনীর সদস্যরাই এসব হত্যা মামলার আসামী ছিলো। তখন সন্ত্রাস ও খুনের ভয়ানক নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলো বন্দরের মদনপুর তথা উত্তরাঞ্চল। এখানে নুনের চেয়ে খুন ছিলো সস্তা। অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী, কথায় কথায় খুন-খারাবি, চাঁদাবাজী, ডাকাতি, লুটতরাজে লিপ্ত হতো এখানকার সন্ত্রাসীরা। শুধু মদনপুর নয় রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে কাজ করতো এরা। এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে ছিলো তুমুল বিরোধ। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের প্রায় এক ডজনেরও বেশী সন্ত্রাসী ও পরিবারের সদস্যরা নৃশ^ংস খুনের শিকার হয়েছে।