ইসদাইরে সশস্ত্র তাণ্ডবের ৫ ক্যাডার আটক

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব সংবাদ দাতা ) : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার ইসদাইরে সশস্ত্র তাণ্ডবের ৫ ক্যাডার আটক । এই সশস্ত্র তাণ্ডবের ৫ ক্যাডার ইসদাইর এলাকায় প্রায়ই সন্ত্রাসী বাহিনীদের তাণ্ডব চলতো। আর এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে শেল্টার দিতেন পূর্ব ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকার জামান ও শিমুল।

২৬ আগস্ট সোমবার বিকেলে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন কমল, রুবেল, সাব্বির, সুমন ও আকাশ। তাদের গ্রেফতারে এলাকায় কিছুটা স্বস্তি বিরাজ করছে। সেই সাথে এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব ইসদাইর এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলেন এলাকাবাসী। প্রায় সময়ই দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে তারা এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো। রেল লাইন এলাকা কেউ হেঁটে গেলে সময় সুযোগ বুঝে তার সর্বস্ব ছিনিয়ে নিত। এলাকায় কেউ নতুন ভবন তুলতে গেলে তাদেরকে চাঁদা দিতে হতো।

মেয়েদের ইভটিজিং থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তাদের দ্বারা হতো না। আর এসকল সন্ত্রাসীদের শেল্টার দিয়ে ইট ও বালুর ব্যবসা পরিচালনা করেন জামান ও শিমুল। যার ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি একটি মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর এলাকার কমল, পায়েল, রুবেল, সাব্বির, রাকিব আকাশ গ্রুপের সঙ্গে কাপুড়াপট্টি এলাকার মাদক বিক্রেতা রকি ও বাদশা গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।

এ নিয়ে গত ২৪ আগস্ট রাতে পূর্ব ইসদাইরের কমল গ্রুপের প্রায় ৪০-৫০ জনের একটি দল ২০-২৫ টি রামদা নিয়ে পশ্চিম ইসদাইর কাপুড়াপট্টি এলাকায় প্রবেশ করে। ওই সময় তারা নির্বিচারে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর ভাংচুর করে বাড়িঘরের জানালার কাঁচ, দরজা ও স্থানীয় দোকানে শাটার কুপিয়ে রেখে যায়। এক পর্যায়ে তারা স্থানীয় মুদী দোকানী পলাশের দোকানে থাকা মালপত্র লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাড়িওয়ালা কৃষ্ণা, সাজেন, রজমান, সমবায় কাশেম, নজরুল, অপু ইমতিয়াজ ও আলী মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর করে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়েছে। প্রত্যেকটি বাড়ির জানালার কাঁচ ও দরজা ভেঙ্গে ফেলেছিল সন্ত্রাসীরা।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান,আর এই ঘটনায় ইতোমধ্যে ৫ জনকে আটককে করা হয়েছে এবং বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে ।

এদিকে পুলিশের এই গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। সেই সাথে বাকী অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় বটতলা এলাকার বাসিন্দা নূরুল ইসলাম জানান, প্রায় অর্ধশত যুবকের মধ্যে সবার হাতে ধারালো রামদা ছিল। তারা নির্বিচারে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। কিন্তু কেন করেছে সাধারণ মানুষ কিছুই জানে না।

add-content

আরও খবর

পঠিত