নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরে মাষ্টার্স পড়–য়া হিন্দু কলেজ ছাত্রী (২০) কে ইভটিজিংয়ের দায়ে সাজু (২৫) ও রাজন (২৪) নামে ২ বখাটেকে পৃথক মেয়াদে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা ভ্রাম্যমান আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মৌসুমী হাবিব এ আদেশ দেন। এদের মধ্যে ইভটিজিংয়ের নায়ক সাজুকে ১ বছরের এবং তার সহযোগী রাজনকে ১ মাসের সাজা প্রদান করা হয়।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লা থানাধীন কাশিপুর এলাকার রমিজউদ্দিন মেম্বারের বখাটে ছেলে সাজু দীর্ঘ দিন ধরে আমিন আবাসিক এলাকার ভাড়াটিয়া বকুল মিয়া কনিষ্ঠা কন্যা নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম বিশ^বিদ্যালয় কলেজের মাষ্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী (২০) কে দীর্ঘ দিন ধরে উত্ত্যেক্ত করে আসছিল। গত ৩১ আগস্ট বিকালে উত্ত্যেক্তের কারণে বখাটে সাজুকে আমিন এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করতে চাইলে বখাটে সাজু আর কোনদিন উত্ত্যক্ত করবেনা বলে এই মর্মে জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে সাক্ষরও দেয়। কিন্তু তারপরও ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার দিনভর বখাটে সাজু ও তার বন্ধু রাজন যুবতী শিক্ষার্থীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে। শিক্ষার্থী (২০) বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে অবহিত করলে স্বজনরা কৌশলে সাজুকে বাসায় আসার পরামর্শ দেয়। যুবতীর কথা মতো বখাটে সাজু ও তার বন্ধু রাজন যুবতীর বাসায় প্রবেশ করতেই পুলিশে সংবাদ দিলে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর অখিল চন্দ্র সরকার ও এ এস আই তোফাজ্জল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযুক্তদেরকে হাতে নাতে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাদেরকে বন্দর উপজেলা কম্পাউন্ডে নিয়ে যাওয়া হলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তথা প্রথম শ্রেণীর বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট মৌসুমী হাবিব ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মূল হোতা সাজুকে ১ বছরের এবং তার সহযোগী রাজনকে ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।