নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শিপু ) : বর্তমানে শিশু ও কিশোররা ইন্টারনেটের আসক্ত হওয়ার ফলে দেশের ঐতিহ্যবাহী সকল খেলাধুলা এখন বিলুপ্তির পথে। ফুটবল ও ক্রিকেট কোন রকম টিকে থাকলেও উনবিংশ শতাব্দীর বেশ কিছু খেলা এখন বিলুপ্তি হয়ে গেছে। খো খো, চুকিতকিত, লুকচুকুনি, চোর পুলিশ, গুলিডান্ডা, পুকুরের জলে হেল হেল, কাবাডি লাললাঠি খেলা সহ ইত্যাদি সকল খেলা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ পরিবারের বড় থেকে শিশু সদস্যদের হাতেই এন্ড্রোয়েড মোবাইল সেট। যার জন্যই সব কিছু এখন বিলুপ্ত হতে চলেছে। তবে গ্রামাঞ্চলের ক্লাব গুলো এখনও সেই সব খেলার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
আগে কার দিনে পুকুরের জলে ডুবে ডুবে হেল হেল খেলা হতো। কলার ভেলা দিয়ে সাঁতার কাটা হতো। তাছাড়া অভিভাবকরা নিজেদের ছেলে মেয়েদের সাঁতার কাটা শেখাতেন। তবে এখনও অভিভাবকদের হাতে সময়ের অভাব। তাই বর্তমান প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা সাঁতার কাটতে পারে না।
তাছাড়া লুকচুকুনি, চোর পুলিশ, চু কিতকিত এইসব অনেক খেলা আর কেউ খেলাতে চায় না। মোবাইলে চোখ রাখলেই এখন নামীদামী সব কিছু খেলা দেখতে পাওয়া যায়। এতেই ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার হয়ে যায়। তাই ঘটা করে আর কেউ সেই পুরাতন খেলা খেলতে চায় না। কিছু কিছু ছেলে এখন মোবাইলে ঘন্টার পর ঘন্টা ফ্রী ফায়ার গেমস সহ বিভিন্ন ধরণের গেমস খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তবে গ্রামাঞ্চলে কিছু কিছু জায়গায় এখনও সেই সব পুরাতন খেলার চলমান রয়েছে। কারণ সেখানকার প্রতিটি পরিবারের কাছে এখনও ইন্টারনেট ও এন্ড্রোয়েড মোবাইল পৌছায়নি। সেখানকার বাসিন্দারা দরিদ্র পরিবার বলেই প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে আছে তারা। গ্রাম-গঞ্জের ক্লাব গুলো পুরাতন খেলাগুলির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বর্তমানে মোবাইল ইন্টারনেট যুগের মোহ ভুলে পুরনো খেলায় মাতেছে গলসির গ্রামাঞ্চলের ছেলেরা। সময় পার করতে পুকুরের জলে ডিগবাজি দিচ্ছে ছোট্ট স্কুল পড়ুয়াদের দল। যা দেখে শৈশবকালে কথা মনে পড়ে যায়।