আ.লীগ নেতা বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছে : চিকিৎসকের ধারণা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দুরন্ত বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) চিকিৎসক ডা. মফিজ উদ্দিন প্রধান নিপুণ । ১৩ নভেম্বর রবিবার দুপুরে হাসপাতালের মর্গে প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্ত শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের ডা. মফিজ উদ্দিন প্রধান নিপুণ বলেন, আমরা দুরন্ত বিপ্লবের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করেছি। লাশের বিভিন্ন স্থানে গভীর আঘাতের চিহ্ন দেখে হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মাথার পেছনে দিকে কিছু দিয়ে আঘাতের গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মাথায় স্বাভাবিকের তুলনায় কম জেল পাওয়া যায়। এছাড়া তার বুকের দুই পাশেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাথার পেছনে ভারী কোন বস্তু দিয়ে আঘাতের পর ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ফাইনাল রিপোর্ট পাওয়ার পর আর ও নিশ্চিত করে বলা যাবে। বাকিটা পুলিশ বা অন্যান্য তদন্ত সংস্থা তদন্ত করে বের করবে। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যায়, এটি হত্যাকান্ড।

এ ব্যাপারে পাগলা নৌ-পুলিশ থানার পরিদর্শক মো. শারজাহান আলী জানান, ৭ নভেম্বর কেরানীগঞ্জ কামরাঙ্গীরচর এলাকায় খেয়া পারাপারের সময় দুটি ট্রলারের সংঘর্ষে বুড়িগঙ্গা নদীতে পড়ে যান দুরন্ত বিপ্লব। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ১৩ নভেম্বর রবিবার তার বোন শ্বাশতী বিপ্লব পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন বুড়িগঙ্গা নদীর পানগাঁও এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর রবিবার সকালে তার বোন শাশ্বতী বিপ্লব পুলিশের কাছে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।

নিহত বিপ্লব (৫১) নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলার ছোট ইলাশপুরের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে বসবাস করতেন।  সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের ১৯৯৪-১৯৯৮ পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি কৃষি খামারের মালিক ছিলেন।

নিহত দুরন্ত বিপ্লবের ছোট ভাই দূর্জয় জানান, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে মোহাম্মদপুরে মায়ের বাসায় যাওয়ার পথে আমার ভাই নিখোঁজ হন। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। তবে নিখোঁজের আগে বিপ্লবের মোবাইল ফোনের সর্বশেষ লোকেশন ছিল রাজধানির কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকায়।

এ ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে খোঁজা-খুঁজি করে দূরন্ত বিপ্লবের কোন সন্ধান না পেয়ে ৯ নভেম্বর তারা কেরানিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর ২ দিন পর ১২ নভেম্বর শনিবার বিকালে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে পাগলা নৌ থানা পুলিশ।

add-content

আরও খবর

পঠিত