নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (সৈয়দ সিফাত লিংকন ) : সারাদেশে বিপুল পরিমাণ মাদক চালানের ক্ষেত্রে এখন অন্যতম গমন পথ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ প্রায় ৩৬টি রুটে মাদকের বিপুল পরিমাণ চালান প্রবেশ করছে এ পথেই। বিভিন্ন সময় মাদক উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার এমন তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কখনো কখনো র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার মত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে উদ্ধারও হচ্ছে বিপুল পরিমাণ মাদক। এসব মাদকের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, গাঁজা, হেরোইন, ফেন্সিডিল ও মদ। তবে শীর্ষে রয়েছে ইয়াবা। এসময় আটকও হচ্ছে কেউ কেউ। তবে অভিযানকালে সেলসম্যান নামক গুটি কয়েকজন ধরা পড়লেও পরবর্তীতে আড়ালেই থেকে যাচ্ছে মাদক কারবারীদের গডফাদার কিংবা রাঘববোয়ালরা।
এদিকে, চট্টগ্রাম থেকে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হচ্ছে। র্যাব নিয়মতই বড় বড় অভিযান চালিয়ে সফলতা দেখাচ্ছে। এমনকি ঢাকা থেকে মাদক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করছে। কিন্তু সে হিসেবে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের কর্মকর্তাদের বছর জুড়ে তেমন কোন বড় মাদকের চালান উদ্ধার দেখা মেলেনি।
আর এতে করে সচেতন মানুষের মাঝেও উঠেছে নানা প্রশ্ন। অনেকে বলছেন, তাহলে এ জেলায় মাদক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কি দুর্বল অথবা অনাভিজ্ঞ ? তাছাড়া কারা শান্তির নগরী নারায়ণগঞ্জকে কলংকিত করতে মাদকের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে ? আর কারাই বা মাদকের ডনদের সহযোগীতা করে সুবিধা ভোগ করছে ? আড়ালে থেকে কারা নিয়ন্ত্রণ করছে এসব মাদক কারবারী ? যা প্রশ্নবিদ্ধ করছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রশংসনীয় কার্যক্রমকেও।
জানা গেছে, মাদকের সবচেয়ে বড় চালানগুলোই ভারত সীমান্ত এবং মিয়ানমার হয়ে টেকনাফ থেকে আসে । যা সিমান্তবর্তী জেলা সিলেট, চট্টগ্রাম জেলা, কুমিল্লা জেলাসহ বেশ কয়েকটি জেলার সাথে রাজধানীতে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে মহাসড়ক হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলাই মূল কেন্দ্রবিন্দু। আর ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগস্থল কাঁচপুর এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের সংযোগস্থল হিসেবে সানারপার ও সাইনবোর্ড এলাকা হল মাদকের অন্যতম সীমান্ত। যেসব জায়গা থেকে খুব সহজেই মাদক চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে। আর এর প্রভাব পড়ছে নারায়ণগঞ্জ জেলাতেও। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদকদ্রব্য। যে কারণে ধ্বংস হচ্ছে এ জেলারও যুব সমাজ।
প্রসঙ্গত : চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বের হয়ে যাওয়া মদের বড় ২টি চালানের কন্টেইনার গাড়ি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আটক করা হয়েছে। এ সময় সাইফুল ইসলাম (৩২) ও মো. নাজমুল মোল্লা (২৩) নামে ২ জনকে আটক করা হয়। শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ে পুরাতন টিপরদি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই দুইটি কন্টেইনারসহ তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলো : মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার নাগেরহাট গ্রামের মৃত শেখ জয়নুল আবেদীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও একই জেলার শ্রীনগর থানার ষোল ঘর ভুইচিত্র গ্রামের মো. আক্কাস মোল্লার ছেলে মো. নাজমুল মোল্লা।
জানা গেছে, মদ ভর্তি দুইটি কন্টেইনার খালাস হবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কমিশনার এবং জয়েন্ট কমিশনারের (জেটি) তত্ত্বাবধানে কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের এআইআর টিম, আনস্টাফিং, স্ক্যানিং ও গেট ডিভিশনের সার্বিক প্রচেষ্টায় এবং র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় সারা রাত কার্যক্রম শেষে চালান দুটি সম্বলিত গাড়ি নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ে আটক করা হয়। এছাড়াও গতকাল এ ঘটনায় অন্যতম হোতা আব্দুল আহাদকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করেছে র্যাব।
অন্যদিকে, ফতুল্লার দেলপাড়া থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির নগদ ৩ লাখ টাকা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলার ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গ্রেফতারকৃতরা হলো : ফতুল্লা মডেল থানার দাপা ইদ্রাকপুরের মো. মোছা বেপারীর পুত্র ও একই থানার পূর্ব দেলপাড়ার হক ভিলার চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া মো. মহাসিন (৩২) ও বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ভাবানিপুরের মো. ইকবালের পুত্র এবং ফতুল্লা মডেল থানার এনায়েত নগর পঞ্চবটি হরিহর পাড়ার ইসলামিয়া ফার্মেসী এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সংলগ্ন মাসুমের বাড়ীর চতুর্থ তলার ভাড়াটিয়া মো. ইমরান।শুক্রবার (২২ জুলাই) ভোর রাতে তাদের কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ইমরানের নিকট থেকে ১ হাজার পিস ও মহাসিনের নিকট থেকে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং মাদক বিক্রির নগদ ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (উত্তর) সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৪ টা থেকে সাড়ে ৫ টার মধ্যে ফতুল্লার দেলপাড়া এলাকায় পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে প্রথমে ইমরান কে ১ হাজার পিস ও পরে মহাসিনকে তার ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে গ্রেফতার করে। মহাসিনের স্বীকারোক্তি বা দেখানো মতে ঘরে থাকা স্টিলের আলমারীর ভিতর থেকে ৩ হাজার পিস এবং তার প্যান্টের পকেট থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক বিক্রির নগদ ৩ লাখ উদ্ধার করে।
এছাড়া ২০১৮-২০২০ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড, সানার পাড়, সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার থেকেও বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল জেলা পুলিশ। বিভিন্ন সময় এখনো খুচরা কারবারীদের কাছ থেকে এলাকার পাড়া-মহল্লায় অভিযানে মাদক উদ্ধার কার্যক্রম দেখা মিলে। কিন্তু পুরো জেলায় যারা এসব মাদক প্রবেশ করাচ্ছে সে তুলনায় আড়ালেই রয়েছে ওইসব মাদকের বড় চালানগুলো এবং মূল হোতারা।
এসব বিষয়ে জানতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ পরিচালক মো. মামুনকে ২ দিন যাবত একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ স্থাপন হয়নি। মিসড কল এলার্ট পেলেও তিনি কল ব্যাক করেনি। তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রসিকিউটর সৈকত দত্ত বলেন, আমরা ওই রকমভাবে মিডিয়ায় ফোকাস করছিনা বিধায় হয়তো প্রচার হয় না। গত সপ্তাহে আমরা দুই হাজার পিস ইয়াবার মামলা হয়েছে। আরেকটা বাস্তবতা আপনাকে মানতেই হবে পুলিশ ও র্যাবে যে সক্ষমতা আমাদের নেই। আমাদের লোক সল্পতা রয়েছে। আমাদের অভিযান হয় না এমন নয়। পুলিশ তাদের থানায় অসংখ্য লোকবল রয়েছে, আমাদের নাই। আমরাও চাই মাদক দূর হোক। এসব মাদক কারবারীদের পিছনে যারা থাকে তাদের ধরতেও আমরা প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করে থাকি।
এ প্রসঙ্গে সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, আসলে মাদক নিয়ন্ত্রনের কাজই হচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের। আমাদের পুলিশ সদস্য মাদক দূর করা সহ, সন্ত্রাস ও নানা অপরাধ মুক্ত করতে কাজ করে থাকে। প্রায় ৭৫ ভাগ কাজই করে পুলিশ। সেক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের আরো অগ্রগতি দরকার। আমরা সবসময় সার্বিক সহযোগীতা করে থাকি। আমরা যতটুকু পারছি করে যাচ্ছি। যে কন্টেইনার ধরা হয়েছে সেটা কাস্টোমস থেকে অনুমতি নিয়ে আসে। সেক্ষেত্রে আমরা সঠিক তথ্য নিশ্চিত না হয়ে আটক করতে পারি না। তাই হয়তো পুলিশ এসব রপ্তানী ও আমদনী পণ্যবাহী কন্টেইনারে চেক করতে পারে না। আর মাদক কারবারীদের জন্য আইন প্রযোগ করা হলে পরে বের হয়ে যেয়ে আবারো শুরু করে। তাই যদি ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বিচার কার্য সম্পন্ন করা যেত তাহলে তারা আর সুযোগ নিতে পারতো না। মাদক অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে চলে আসতো।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো.মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষে তো যথেষ্ট চেষ্টা রয়েছে। আর এ নিয়ে র্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জের কর্মকর্তারা কাজ করছে। তাদেরও মাদক দূর করার জন্য সর্বাত্মক নির্দেশনা রয়েছে। একটা জেলার সাথে ঢাকা সহ অন্যান্য জেলার সীমান্ত রয়েছে। তাই প্রতিটি সীমান্ত ধরে লোক রাখানো সম্ভব হয় না। তবে সকলের সহযোগীতা থাকলে এ মাদক বন্ধ হয়ে যাবে।
অপরদিকে, এসব ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে তড়িৎ গতিতে মাদকের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জেলা প্রশাসন, র্যাব, পুলিশসহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। বেশ কয়েকটি আস্তানায় চালিয়েছে অভিযান। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাঁজা বিক্রি করার সময় হাতে নাতে ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো : রুবেল (৩২), আব্দুল মান্নান (৩৩) এবং মো. রনি (৩০)। অভিযানকালে ২৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত ২৯ জুলাই রাতে শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের সদর এলাকায় ১৪ জন চিহ্নিত কুখ্যাত মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে মাদক বিরোধী টাস্কফোর্স। অভিযানে ২১ গ্রাম হেরোইনসহ (আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) বিপুল পরিমাণ গাঁজা, ইয়াবা ও মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। গ্রেফতার ১৪ জনের মধ্যে চিহ্নিত কুখ্যাত মাদক বিক্রেতা রনি (২৩), হাফিজুল (৩০) ও স্বপন তালুকদারের (২৫) বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর ১১ জনকে মোবাইল কোর্টে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ডসহ অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. রাসেল ইসলাম নূরের নেতৃত্বে মাদক বিরোধী এই অভিযানে র্যাব, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া ৩০ জুলাই শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারী মাইক্রো স্ট্যান্ডের উত্তর পার্শ্বে মসজিদ সংলগ্ন বিশেষ অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ তিন মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা মাদক বিক্রেতারা হলো : ফতুল্লা মডেল থানার তল্লা এলাকার আমান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত জামাল মিয়ার পুত্র আরিফ মিয়া (২৯), ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরের আবুল হোসেনের পুত্র সাগর (২৮) ও একই এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র টিপু (৪৫)। অভিযানকালে ৭০০ গ্রাম গাঁজা ও মাদক বিক্রির ৪৭ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
এরপর ৩১ জুলাই রবিবার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল হাফিজের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের শহরের খানপুর, চাষাড়া রেলস্টেশন ও ২ নং রেল গেইট এলাকায় দিনব্যাপী মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। মাদক বিরোধী অভিযানকালে ১৪ মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে মাদক বিরোধী টাস্কফোর্স।
মাদক বিরোধী অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. রাসেল ইসলাম নূর ও কে এম ইশমাম এর নেতৃত্বে র্যাব ১১ এর উপ পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার কে এম মনিরুল আলম ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. সম্রাট তালুকদারসহ র্যাব ১১ এর সদস্যবৃন্দ, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মোবাইল কোর্টে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডসহ অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এ সময় প্রায় ২ কেজি গাঁজা, ১০ পিস ইয়াবা ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
পরিশেষে সাধারণ জনগণের মধ্যে অনেকটাই স্বস্তি দেখা গেছে। তবে এসব অভিযান যেনো কয়েকদিনের জন্য না হয়। ধারাবাহিক অভিযানসহ এসব ছিচকে মাদক কারবারির কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মূল হোতা তথা মাদকের ডনদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। দেশ ও এই সমাজকে রক্ষায় এসব মাদক কারবারীদের দেয়া হোক কঠোর শাস্তি। এমনটাই বলছেন নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ।