আড়াইহাজারে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা, ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রবাস ফেরত শামীম এর বাড়িতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে হামলা, ভাঙচুর, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট এবং পালের গরু হত্যা সহ ২জনকে গুরুতর আহত ও ১ জনকে অপহরণ করেছে মইজ্জা ডাকাত ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

এ ঘটনায় লাল মিয়ার ছেলে মো. আহাম্মদ আলী (৬০) কে আহত অবস্থায় আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে এবং অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় আহাম্মদ আলীর ছেলে প্রবাস ফেরত শামীম (২৫) কে নারায়ণগঞ্জের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, হামলার পর থেকে আহত আহাম্মদ আলীর অপর ছেলে আল-আমিন (২৩) নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগি পরিবারটি।
অভিযোগে জানা গেছে, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামে ২৮শে জানুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে প্রবাস ফেরত শামীম এর বাড়িতে হামলা করে মইজ্জা ডাকাত ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। রাতে তারা বাড়ি ঘর আংশিক ভাঙচুর করে চলে গেলেও পরে ২৯শে জানুয়ারি শনিবার ভোর ৬টায় দলবল সহ এসে পূনরায় ঘুমন্ত পরিবারটির উপর হামলা করে। এসময় হামলাকারীরা শামীমের বাড়ির ২টি গরুকে কুপিয়ে হত্যা করে, ৪ লাখ টাকার ২টি নৌকা কুপিয়ে কেটে ফেলে এবং নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নেয়া সহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। হামলা চলাকালে একই পরিবারের দুই জন আহাম্মদ আলী ও তার ছেলে গুরুতর আহত হয় এবং আহাম্মদ আলীর ছোট ছেলে আল-আমিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

ভুক্তভোগিরা জানায়, হামলাকারীদের মধ্যে অন্যতম একই গ্রামের মইজ্জা ডাকাত (৩৫) পিতা-অজ্ঞাত, জয়নালের ছেলে ইয়াসিন (২৪) , আলাউদ্দিনের ছেলে সাদ্দাম(২৮), হাফিজউদ্দিনের ছেলে তরুব (৪০), জহুর আলী (৪৫), জয়নাল (৫০) ও জাফর (৫৫) এবং জাফরের ছেলে আব্বাস আলী (২৫), ফরিদের ছেলে রাসেল (২২) ও সোহেল (২০), জহুর আলীর ছেলে নিপ্পন (২১), সামসুলের মেয়ে সারমিন (২২), তরুব আলীর ছেলে মাহাবুব (২০), জয়নালের ছেলে সবুজ (২৭), মোহর আলীর ছেলে হযরত আলী (২৭) সহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জন সহ প্রায় ২৫ জনের একটি দল হামলা চালায়।

আহত শামীম জানান, প্রায় ৩ মাস পূর্বে বরুনাই থেকে ছুটিতে দেশে আসার পর নয়নাবাদ বাজারে আমাকে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমার সাথে থাকা স্মার্ট ফোন সহ নগদ ১ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় মইজ্জা ডাকাত ও তার সাথে থাকা এসব হামলাকারীরা। সেই সময় আমাকে মারধর করে আহত করা হয়। ওই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শালিসে বসার আহ্বান করলেও তারা আসেনি এবং তখন থেকেই নানাভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদের তারা হুমকি ধামকি দিতে থাকে। যার সূত্র ধরে শনিবার ভোরে এ হামলা ও লুটপাট চালায় তারা।

এদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই পরিবারটির কাজই হচ্ছে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের বাড়িতে ডাকাতি ও ছিনতাই ও লুটপাট করা। এদের ভয়ে ভুক্তভোগিরা থানা পুলিশে যায় না। আর গেলেও পুলিশ এদের বিরুদ্ধে মামলা নেয় না।

খানপুর ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসারত আহত শামীম ও তার পরিবারের অভিযোগ, এ ঘটনার পর আড়াইহাজার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে চায়নি এবং আহত আল-আমীনের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না। ফলে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। ঘটনা তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে তারা জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত