নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার সংবাদদাতা ) : আড়াইহাজারে বৃহম্পতিবার রাতে জনতার হামলার শিকার হয়েছেন পুলিশের চার সদস্য। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে গিয়ে তারা এ হামলার শিকার হয়েছেন। আহতরা হলেন- এসআই আবুল আবুল কাসেম, এসআই হেলাল, পিএসআই মোফাজ্জল ও এএসআই মোস্তাফা।
এ ঘটনায় এসআই আবুল আবুল কাসেম বাদী হয়ে বৃহম্পতিবার রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা করেছেন। এর আগে মুক্তা নামে একনারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে ওই এলাকার মহসিনের স্ত্রী। স্থানীয় ঝাউগড়া এলাকায় ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ঝাউগড়া এলাকার মহসিনের স্ত্রী মুক্তা নামে একনারী বৃহম্পতিবার রাতে একটি মুঠোফোন থেকে পুলিশে খবর দেয় ওই এলাকার রমজানের ঘরে ইয়াবা বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের এসআই কাসেমসহ আরও চার পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যায়। রমজানের ঘরে তল্লাশি করতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে পুলিশের ওই সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
পরে রাতেই ফের অভিযান চালিয়ে পুলিশকে তথ্য প্রদানকারি মুক্তার ঘর থেকে ৫ পুড়িয়া হেরোইন ও ৭০পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছেন বলে পুলিশের দাবী। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার লোকজনের মধ্যে গ্রেফতার আতংক দেখা দিয়েছে। এর ফলে প্রায় ২০টি পরিবার তাদের বসত ঘর তালাবদ্ধ করে অন্যত্র চলে গেছেন। এদিকে গ্রেফতার হওয়া মুক্তার পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, পুলিশের কাছে মাদক বিক্রেতার তথ্য দেয়ায় মুক্তার বিরুদ্ধেই উল্টো মিথ্যা একটি মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক বলেন, গ্রেফতার হওয়া ওই নারী পুলিশের কাছে তার মোবাইল থেকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পরে মোবাইলটি বন্ধ করে দেয়।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ওসি আরও জানান, তথ্য পেয়ে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের সাথে রমজানের পরিবারের লোকজনের সামান্য ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া ওই নারীর ঘর থেকে ৭০ পিস ইয়াবা ও পাঁচ পুড়িয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে।