আসন্ন সিটি নির্বাচনে বোনের চাওয়া পূরণ করতে সুমীর মূখোমুখী হবেন রনকা

নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ : কথা ছিল আসন্ন সিটি নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হবেন বন্দরের মেয়ে গার্মেন্টস্ ব্যবসায়ী ফারজানা ইসলাম। কিন্তু তা তিনি করেন নি। বরং আদরের ছোট ফুপাতো বোন কামরুন নাহার রণকাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চান তিনি। যে কারনে মায়ের মত বড়বোন ফারজানা ইসলামের  নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেনের আসন্ন নির্বাচনে ১৯,২০,২১ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের বর্তমান জনপ্রতিনিধি রেজওয়ানা হক সুমির মুখোমুখী হতে যাচ্ছেন ১৯ নং ওয়ার্ড তথা মদনগঞ্জ এলাকার বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী কামরুন নাহার রনকা।

প্রার্থীদের মধ্যে নতুন মুখ হলেও উল্লেখিত নির্বাচনী এলাকায় রনকা’র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং সু-পরিচিতি। অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রমী, স্পষ্টবাদী, হাস্যোজ্জল, সদালাপী, পরোপকারী, মিশুক এবং একজন যোদ্ধা নারী হিসেবে সমাজের সর্ব শ্রেনীর মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত প্রশংসনীয়ও বটে।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সর্ব জনতাকে ঈদ মোবারক তথা শুভেচ্ছা জানাতে রঙীন ছবিতে তার পোষ্টার, ব্যানার, ফেষ্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা নির্বাচনী এলাকা। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝেও ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এলাকার হোটেল, চায়ের দোকান এবং সাধারণ মানুষের আড্ডায় রনকাকে নিয়ে বইছে আলোচনার ঝড়। আলোচনায় উঠে এসেছেন তারই বোন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও অপর জনপ্রিয় মুখ ফারজানা ইসলাম। আলোচকদের ভাষায় রনকা’র বোন ফারজানা ইসলাম আরও বেশী জনপ্রিয় একজন নারী। ফারজানার জনপ্রিয়তায় রনকার নির্বাচনী জয় অনেকটা সহজলভ্য হবে বলেও অনেকেই মন্তব্য করেন।

কামরুন নাহার রনকা এ ব্যাপারে একান্ত স্বাক্ষাতে  সংবাদ নারায়ণগঞ্জকে জানান, আল্লাহ্ রাসুলের পর যে কোন মুসলমানের কাছে তার মা থাকে সবচেয়ে বেশী প্রিয়জন। আমার মা নেই, আমার বয়স যখন মাত্র ছ’বছর তখন আমি আমার মাকে হারাই। ফারজানা ইসলাম আমার ফুফাতো বড় বোন। আমার মায়ের স্থানে আজ তিনি অধিষ্ঠিত। এই পৃথিবীতে তিনিই আমার সব চাইতে প্রিয় মানুষ, আমার অভিভাবক। আমি শুধুমাত্র তাঁর কাছে কৃতজ্ঞই নই, আমার বেড়ে ওঠা, বড় হওয়া, আমার প্রতিষ্ঠা,সু-পরিচিতি এবং আজকের এই অবদান সব কিছুই পেয়েছি আমি মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহের বাণী এবং আমার এই বোনের আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতায়।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত