আলোচিত নেতা খান মাসুদের ১ম বিবাহ বার্ষিকীতে বিভিন্ন মহলের শুভেচ্ছা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি  ) : বন্দরে রাজনীতিতে বেশ আলোচিত এক নেতা খান মাসুদের বিবাহ বার্ষিকী সীমিত আকারে উদযাপন করা হয়েছে। ১২ জুলাই রবিবার প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে তার বন্ধু মহলের পক্ষ হতে দোয়া সহ সীমিত আকারে বিবাহ বার্ষিকী আয়োজন করা হয়।

আলোচিত খান মাসুদের ১ম বিবাহ বার্ষিকীতে রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান। এদিকে নানা বিষয়ে বছর জুড়ে রাজনৈতিক মাঠে চমক, সামাজিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্ব-শরীরে যোগ দিয়ে বেশ আলোচিত এক নেতার নাম খান মাসুদ।

৫ অক্ষরের ছোট্ট একটি নাম হলেও নানা বিষয়ে বেশ আলোচিত তিনি। সাংগঠনিক দক্ষতা, তরুনদের উৎসাহ্, অসহায়, গরীব ও দু:খী মানুষদের জন্য আর্শিবাদ। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় প্রায় ১১ বছর ২ মাসে কোন লোভ, দলের পদ ব্যবহার পূর্বক অর্থ উপার্জন তাকে গ্রাস করতে পারেনি। দল ও সংগঠনের জন্য যে নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে তা বিরোধী দলের কোন নেতাকেও করতে হয়নি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আর্দশের সৈনিক ও প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমানের একজন পরিক্ষিত কর্মী। যার কাছে দলের চেয়ে তার আর্দশের মূল্য বেশি। বন্দর থানা ছাত্রলীগের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী হলেও কোন টেন্ডারবাজি, দখলবাজি বা চাঁদাবাজিতে দেখা যায়নি। নেতা ডাকে (শামীম ওসমান) বিভিন্ন সভা সমাবেশে অন্য রকম সাজ দেখা গেছে। সাংগঠনিক দক্ষ ও দলের প্রয়োজনে প্রতিটি ওর্য়াডে যদি একজন করে খান মাসুদ থাকতো তাহলে রাজনীতির মাঠ চাঙ্গা থাকতো সব সময়।

এস এস সি পরিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে খান মাসুদ নিজেই ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে এস এস সি পরিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে ১৩ ফ্রেবুয়ারি খান মাসুদসহ নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করে। যা সর্ব মহলে প্রশংসনীয়। খান মাসুদ মানেই ভিন্নতা আর ভিন্নরুপ।

গত ৭ সেপ্টেম্বর ছিল বিয়ের বৌ-ভাত। দুপুর থেকেই আসতে শুরু করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানস্থলে নববধূর সঙ্গে জামাতাও। তবে কিছুক্ষণ পরেই তিনি বের হয়ে যান সেই পোশাক পড়েই। নেমে পড়েন রাস্তায়। জয় বাংলা শ্লোগানে মূখরিত হয়ে উছে পুরো শহর। বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান আর অতিথিদের রেখেই চলে যান সেই মিছিলে। শীতলক্ষ্যা পাড় হয়ে পশ্চিম তীরে এমপি শামীম ওসমানের জনসভাতে যোগ দেন।

ওই খবর প্রকাশের পর রীতিমত ভাইরাল হয়ে উঠে খবরটি। সর্বত্র আলোচিত হয়ে উঠে। এক সময়ে গণমাধ্যমে নেতিবাচক শিরোনাম হওয়া সেই ব্যক্তিটির নাম খান মাসুদ। তিনি বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। নানা কর্মকান্ডে সমালোচিত আলোচিত হলেও এবার তিনি আলোচনায় এসেছেন বিয়ের বৌ-ভাতের অনুষ্ঠান রেখে জনসভাতে যোগ দেওয়াতে।

বেশ আগে থেকেই ৭ সেপ্টেম্বর বিয়ের বৌ ভাতের অনুষ্ঠান ধার্য করেন খান মাসুদ। কিন্তু হঠাৎ সেদিন জনসভার ডাক দেন শামীম ওসমান। এ নিয়ে মাসুদ পড়ে যান বেশ চিন্তায়। ধারণা ছিল নেতারা উপস্থিত হতে পারবেন না। কিন্তু হতাশ করেনি কর্মী-বান্ধব শামীম ওসমান। দুপুরে নদী পার হয়ে সেই খান মাসুদের বিয়ের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন এমপি শামীম ওসমান, এমপি সেলিম ওসমান, ভিপি বাদল সহ অনেক সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থেকে তাদের সকলের আশা পূরণ করে দেন। নারয়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমানও উপস্থিত থেকে খান মাসুদ দম্পতীকে আর্শিবাদ করেন। আর শেষতক শামীম ওসমানের প্রতি প্রচন্ড আনুগত্য দেখিয়ে বৌ ভাতের অনুষ্ঠান আর নববধূকে ফেলে রেখেই চলে আসেন সমাবেশে।

add-content

আরও খবর

পঠিত