নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : করোনা ভাইরাস মহামারির শেষ কবে বিশ্ব জুড়ে এ প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা হলেও এর মধ্যেই ঘনিয়ে আসছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে সামনে রেখে এর মধ্যেই ২২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর সম্ভাব্য পদপ্রার্থীরা বিভিন্ন কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। ২২নং ওয়ার্ড জুড়ে ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেটের সমারোহ।
তবে এসব প্রার্থীদের মধ্যে তৃণমূলে জোর পেয়েছে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী খান মাসুদের নানা ধরনের প্রচারণা। ইতিমধ্যে বন্দরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের কাছে প্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন যুবলীগ নেতা খান মাসুদ।
২২নং ওয়ার্ড সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বর্তমান কাউন্সিলর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ ছাড়াও ক্ষমতাশীল দল আওয়ামীলীগের তিন জন ও জাতীয় পার্টির একজনের প্রার্থী নাম রয়েছে। এর মধ্যে কদমরসুল পৌর যুবলীগে সাধারণ সম্পাদক কাজি জহির, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী সাবেক ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম।
এদিকে, নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে পাঁচ জন প্রার্থীর মধ্যে মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ। তিনি শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝেই নয়- সাধারণ মানুষের কাছেও খুবই জনপ্রিয়। এমন নেতাকেই নৌকার টিকেট দেয়া হলে ২২নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে সাধারণ মানুষ বিজয়ী করবেন।
কদমরসুল পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজি জহির বলেন, ২২নং ওয়ার্ড নির্বাচনে শিক্ষিত মানুষ প্রয়োজন। কারণ অশিক্ষিত লোক যদি জনপ্রতিনিধি হয় তাহলে সমাজে ভাল কিছু আসা করা যাবে না। এই ওয়ার্ডে যেই নির্বাচন করুক না কেন সাধারণ মানুষ সৎ শিক্ষিত ব্যাক্তিকেই নির্বাচিত করবে। আমিও একজন প্রার্থী আমাকে যদি ওয়ার্ডবাসী যোগ্য মনে করে তাহলে অবশ্যই ভোট দিবে। এছাড়াও তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছি। সেই সুবাধে আমিও দল থেকে মনোনয়ন চাইবো বলে জানান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি বলেন, আমি এবার ২২নং ওয়ার্ডে একজন প্রার্থী। জনগন ও দল যদি আমাকে চায় তাহলে অবশ্যই আমি নির্বাচন করবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম বলেন, করোনায় দেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ, আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। আমাকে অনেকেই বলতেছে নির্বাচন করার জন্য আমি বলেছি আগে দেখি দেশের পরিস্থিতি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা খান মাসুদ বলেন, গতবারও কাউন্সিলর পদে এলাকার জনগণ আমাকে নির্বাচন করার জন্য অনেকবার বলেছে। কিন্তু তখন আমি নির্বাচন করিনি। এবারও আমাকে চাচ্ছে আমি যেনো নির্বাচন করি। এছাড়াও মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যে আমার ভিতরে একটা চিন্তাভাবনা মাথায় এসেছে জনগণের সেবা করার জন্য। জনগণের কল্যাণে কাজ করতে জনপ্রতিনিধি হওয়া লাগেনা, অন্তরে থাকতে হয় মানুষ্যত্ববোধ। মহামারি এই করোনাকালীন সময় সমাজে অনেক বিত্তশালীরাও মানুষের পাশে দাঁড়িয়নি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজের সাধ্যমতো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আমাদের বন্দরের অভিভাবক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান সহ আমার নেতা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান যদি আমাকে চায় তাহলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো।