নারায়নগঞ্জ বার্তা ২৪ : বন্দরের মদনপুরে দোর্দন্ড প্রতাবশালী ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি খলিল মেম্বার বহুল আলোচিত গডফাদার নুর হোসেনের ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছে। মদনপুর চৌরাস্তায় পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজী থেকে শুরু করে ভূমি দখল, বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, মাদক পাচারসহ এমন কোন অপরাধ নেই যা করছেনা এই খলিল মেম্বার সমর্থিত বাহিনী।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চট্রগ্রাম, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, বিদেশী মদ, বিয়ারের চালান এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পাচার হচ্ছে। আর এসব কর্মকান্ড মদনপুরের খলিল মেম্বারের ব্যক্তিগত অফিস থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বিগত ইউপি নির্বাচনে সাত খুনের প্রধাণ আসামী নূর হোসেনের সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগীতায় সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মেম্বার নির্বাচিত হয় খলিলুর রহমান। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নুর হোসেনের লোক পরিচয়ে মদনপুর চৌরাস্তায় সরকারী জমিতে অফিস বানিয়ে নিজস্ব বাহিনী তৈরী করে এলাকায় জমি দখল, মিল কারখানা ও বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানীতে চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, বালু ব্যাবসা দখল করে বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক বনে গেছে। খলিল মেম্বারের বাহিনীর অন্যতম সদস্য কানা মতিন, রুহুল, আব্দুল, মাউচ্ছা আনার, বয়রা কামাল, মুকুল, চোরা স্বপনসহ শতাধিক সদস্য মদনপুরে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, এক সময়ের জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত খলিল মেম্বার কালো টাকার প্রভাবে স্থানীয় কতিপয় নেতাদের ম্যানেজ করে মদনপুর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ঘোষিত হয়। এরপর থেকে খলি মেম্বার নিজেই হয়ে ওঠে নুর হোসেনের মতো গডফাদার। একাধারে আওয়ামীলীগ নেতা, ইউপি মেম্বার, গডফাদার নুর হোসেনের ঘনিষ্ট সহযোগী ইত্যাদী তকমা লাগিয়ে মদনপুরের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে এই খলিল মেম্বার। মদনপুর বিএনপির স্বঘোষিত সভাপতি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কাবিলার সঙ্গে জুটি বেধে পুরো মদনপুরের সকল অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে খলিল-কাবিলা বাহিনী। স্থানীয় প্রশাসন তাদের হাতের মুঠোয় বলে প্রচার করে এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, ভূমি দখল, বালু ভরাট নিয়ন্ত্র, পরিবহন সেক্টর দখল করে আরেক নুর হোসেন বনে গেছে এক সময়ের নুর হোসেনের চেলা কথিত আওয়ামীলীগ নেতা খলিল মেম্বার।