নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিনিধি ) : আলোচিত ৭ খুন মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেন এর বিরুদ্ধে এবার অস্ত্র ও মাদক মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের আদালত। ৭ আগস্ট রবিবার বিকালে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১) আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এর আদালতে এ ১১ আসামীর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। এ সময় নূর হোসেনসহ মামলার অন্য আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামীরা হলেন : মোস্তফা জামান চার্চিল, রিপন ওরফে ভ্যানিজ রিপন, আলী মাহমুদ, নুরুদ্দিন, শাহ জালাল বাদল, শাহ জাহান, সানাউল্লাহ, হারুন অর রশিদ ও মাসুদ।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৯ মে সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় শিমরাইলের টোকপাড়ায় নূর হোসেন নিয়ন্ত্রিত ট্রাক স্ট্যান্ডের পেছনে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল, ছোরা, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নূর হোসেন, তার ভাই কাউন্সিলর নূর উদ্দিন ও ভাতিজা শাহজালাল বাদলসহ ১১ জনকে আসামী করে মামলা করে। সেই মামলায় ওই বছরের ১৯ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন বলেন, একটি অস্ত্র মামলা চার্জ শুনানি ছিল। শুনানি শেষে আদালত চার্জ গঠনের মধ্যদিয়ে বিচার কাজ শুরুর আদেশ দেন। সেই সঙ্গে ২৯ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ মে তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও কিছু দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করে। পরে এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সে মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের শুনানি শেষে আদালত চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, একটি মামলা চার্জ গঠনের শুনানির জন্য নূর হোসেনকে কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। সেই সঙ্গে বিচারিক কার্যক্রম শেষে তাকে আবার কড়া নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ সময় অন্য আসামিসহ তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোড থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হন। পরে ৩০ ও ৩১ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১ কিলোমিটারের মধ্যে মরদেহগুলোর পায়ে ২৪টি করে ইট বোঝাই সিমেন্টের ব্যাগ বাঁধা ছিল।
পরে সিটি কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি আলোচিত এই মামলায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত নূর হোসেন, র্যবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারায়ণগঞ্জের আদালত।