আমার নেতাকর্মীদের চুল স্পর্শ করলেও আগুন জ্বলবে : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪: নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ আলহাজ একে এম শামীম ওসমান বলেছেন, হকার ইস্যুতে তার কর্মীদেরকে গ্রেফতার তোর দুরের কথা চুল স্পর্শ করতে আসলেও নারায়ণগঞ্জে আগুন জ্বলবে। তার কর্মীরা বিএনপির শাসনামলে একদিনে ৫০ টিরও বেশী মামলার আসামী হয়েছিল বর্তমানে দু-একটি মামলা দিয়ে তাদেরকে কিছু করা যাবে না ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারী) বিকেল ৪ টায় অক্টো অফিস সংলগ্ন ওসমানী স্টেডয়াম প্রাঙ্গনে আ.লীগের কর্মী সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড.আবু হাসনাত শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন হাজী, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, জাতীয় পার্টির মহানগর শাখার সভাপতি আবুজাহেরসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, হকার ইস্যুতে আমার সাথে ছিল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। আর মেয়রের সাথে ছিল বিএনপি জামায়েতের লোকজন। কয়েকটি গনম্যামে কিছু হলুদ সাংবাদিকরা প্রচার করেছে নিয়াজুল নাকি মেয়রকে হত্যার জন্য অস্ত্র প্রদর্শন করেছে। আর আমি নাকি নিয়াজুলকে পাঠিয়েছি আইভীকে হত্যা করার জন্য। শুধু নিয়াজুলই কি আমার লোক? নিয়াজুলকে বাঁচাতে কেউ গেল না কেন? কিছু ভাল সাংবাদিক রয়েছে যারা সত্য কথা লিখেছেন। নিয়াজুল কাউকে হত্যা করতে যায়নি বরং তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এক বার না তিন বার মারা হয়েছে তাকে। পরে নিজেকে সেভ করতেই নিয়াজুল অস্ত্র দেখিয়েছে। কিন্তু গুলি করেনি। তাকে মারধর করার পর তার অস্ত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ওই অস্ত্রটি উদ্ধার নিয়ে পুলিশ নাটক করেছে। অস্ত্রটি কারা নিয়েছিল তাদেরকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি আরো  বলেন, ‘ধৈর্যের বাঁধ ভাইঙ্গা গেছে। নাটক করবেন না। পিস্তল যে নিছে তারে ধরেন। পত্রিকায় লেখাইছেন নিয়াজুল পলাতক। নিয়াজুল পলাতক না, নিয়াজুল চিকিৎসা নিচ্ছে। নিয়াজুলের ওপর হামলার বিচার করেন, হয় আপনারা করবেন, নয়তো জনগণ নিয়ে আমরা করবো। যা হয় হবে, বাকিটা আমি বুঝবো।

তিনি আরও বলেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী এতিমদের টাকা চুরির মামলা খালেদার বিরুদ্ধে রায় হবে। এ রায় নিয়ে বিএনপি উল্টো-পাল্টা কথা বলছে। আবারো তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। একারনে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৩টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষনা দেন তিনি। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে বুঝাতে চান জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এক আছে এবং যে কোন অপ্রীতীকর ঘটনা সামাল দিতে তারা সর্বদা প্রস্তুত বলেও হুশিয়ারী দেন এ সাংসদ।

add-content

আরও খবর

পঠিত