আমাকে না নিলেন, নেত্রীকে আবারো প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে : সেলিম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারাযণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে মনে করবেন চেঞ্জ অর ডাই। পরিবর্তন করো নয়তো মরো। আমি সেলিম ওসমান আমার কি হবে না হবে সেটি বড় কথা নয়। আমাকে দলে নেন বা না নেন আপনাদের দলের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে এই প্রত্যয় নিয়ে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। আমি ৭৫ সালের আগ পর্যন্ত শহর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিলাম।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় চাষাঢ় এলাকায় অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহর যুবলীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে আয়োজিত দোয়ার পূর্বে আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সকলের প্রতি এ আহবান রাখেন।

উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আপনাদের সবাইকে অনেক সর্তক থেকে কাজ করতে হবে। অনেকেই পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করতে হবে। অনেক উস্কানি দিবে। যাতে করে আপনাদের ধৈর্য্য হারিয়ে কোন বিশৃঙ্খলা করে বসেন। মনে রাখবেন আপনারা যদি উত্তেজিত হয়ে নারায়ণগঞ্জে বিশৃঙ্খল কোন কিছু করে বসেন তাহলে আমরা প্রধানমন্ত্রী হারাবো। কারন এই নারায়ণগঞ্জ সারা বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়, সারা দেশের চালিকা শক্তি এই নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জের উপরই নির্ভরশীল সারা বাংলাদেশ। এই নারায়ণগঞ্জ থেকেই ৬ দফা, ১১দফা, ৫২র ভাষা আন্দোলন, ৭১র মুক্তিযোদ্ধের সূত্রপাত হয়েছে। এসব আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ থেকেই শুরু হয়েছে। এমনকি ৭৫ এর বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর ওই রাতেই সর্বপ্রথম নারায়ণগঞ্জ থেকেই আপনাদের প্রিয় নেতা প্রয়াত নাসিম ওসমান এবং বিকেএমইএ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মঞ্জুরুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে দ্বিতীয়বারে মত যুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিল।

নারায়ণগঞ্জ সারা বাংলাদেশের চালিকা শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতো কিছুর পরেও যখন নারায়ণগঞ্জকে ধ্বংস করতে পারে নাই তখনই ২০০১ সালে ১৬ জুন চাষাঢ়ায় আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা মেরে নারায়ণগঞ্জের ২১জন কৃতি সন্তানকে হত্যা করেছে। আজকে যেখানে আপনারা বসে আছেন এখানেই ২১জন মানুষের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়ে ছিল। সেদিন মৃত্যু শয্যায় থেকেও শামীম ওসমান নিজেকে বাচাঁনোর কথা না বলে বলেছিলো শেখ হাসিনাকে বাঁচান। এরপর ঢাকায় ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা হামলা চালানো হয়।

শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামীলীগে সহ সভাপতি চন্দন শীল, সহ সভাপতি রবিউল হোসেন, কমান্ডার গোপি নাথ দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান ফেরদৌস জুয়েল, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, শহর সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসানুল হাসান নিপু, সদ্য বিদায়ী সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাইল রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুইটি, সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

add-content

আরও খবর

পঠিত