নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন শীল বলেছেন, সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই সরকার কাজ করছে। আমাদের থামাতে পারবেন না। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার সৈনিক। বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানে কি ভাবে ঘুরে দাড়াতে হয়। আমরা ধরি ধরি ধরি না একবার ধরলে ছাড়ি না। মাথায় রাখবেন।
রোববার (৫ আগস্ট) বিকেলে চাষাড়া শহীদ মিনারে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, যারা এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। মুক্তিযুদ্ধ চায়নি। তারা এই্ উন্নয়নের ধারাকে নষ্ট করতে একত্রিত হচ্ছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে কুচক্রিদের মাঠে নামিয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই এই সরকারের উন্নয়ণ যাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না এই চক্র। ইতোমধ্যে তাঁদের ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে।
চন্দনশীল বলেন, আমরা শামীম ওসমানের নেতৃত্বে রাজনীতি করি। তিনি যখন একবার ছাত্রদের এই আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তখন আমরাও এখানে সমর্থন করি। আমার স্ট্যাটাস তাদের গায়েই লাগবে যারা জামাত শিবির রাজাকারের সন্তান ও নাতি পুতি। অন্যদের গায়ে এ কথা লাগবে না। আমি কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীকে (জারজ) বলিনি। যারা জামাত-শিবিরের হয়ে মাঠে নেমেছে তাঁদের বলেছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবীবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক বিন্দু, সদ্য বিদায়ী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, শনিবার শিক্ষার্থীরা চান্দন শীলের গাড়ি আটকে দিয়ে চালকের লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান। এসময় তার সাথে শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার পর ওই দিন রাতেই তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোষ্ট করেন। সেখানে তিনি লিখেন, ৭১ এ রাজাকার আল বদররা মানুষের আই ডি চেক কোরতো। এখন তাদের জারজ সন্তান, নাতি, পুতিরা মানুষের লাইসেন্স চেক করে। চলিতেছে সার্কাস।