নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সাংসদ, প্রয়াত বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নাসিম ওসমান তনয় আজমেরী ওসমান বলেছেন, আমি আমার বাবাকে দেখেছি তিনি এতিম ও মাদ্রাসার প্রতি অনেক দুর্বল ছিলেন। সবসময়ই দেখতাম তাদের জন্য সহযোগীতায় তিনি এগিয়ে আসতেন। আমিও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চাই। তাই আমরণ যেকোন সহযোগীতায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও এতিমদের পাশে থেকে আমি কাজ করতে চাই। ১০ই জানুয়ারী বুধবার রাতে জালকুড়ি এলাকাস্থ জামিয়া রাব্বানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। এছাড়াও লোডশেডিং থেকে একটু প্রশান্তির জন্য মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও এতিমদেরকে একটি অত্যাধুনিক জেনারেটর এর ব্যবস্থা করে দেন। যা আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরী ও শব্দ দূষনের কারণ থেকে পরিবেশ এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি থেকে রক্ষা করবে। তাছাড়া উল্লেখিত মাদ্রাসার পাশেই একটি ভন্ড পীরের আস্তানা গড়ে উঠেছিল। যেখানে উচ্চ শব্দে বাদ্য-বাজনা সহ গান করত, এবং নেশার আস্তানায় পরিণত হয়েছিল। মাদ্রাসার মোহতামীম এসব বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত জানালে তৎক্ষনাত আজমেরী ওসমান স্ব-শরীরে সেখানে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে এর সমাধান করে দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নাসিম ওসমান স্মৃতি দুস্থ ও কল্যান ফাউন্ডেশনের সভাপতি তরিকুল ইসলাম লিমন, জামিয়া রাব্বানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা মুফতি নজরুল ইসলাম ভাসানী (মোহতামিম), মুফতি মাহাদি হাসান মোহাদ্দিস), মুফতি জাহিদুল ইসলাম (শিক্ষা সচিব), মুফতি আমির হামজা (সিনিয়র মোহাদ্দিস)।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি রাব্বানী নগর এলাকাস্থ জামিয়া রাব্বানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ৫শত ৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০০৫ সনে মাদ্রাসটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে জেলায় র্শীষস্থানে অবস্থান র্অজন করেছে। উল্লেখিত মাদ্রাসাটিতে মকতব থেকে দাওরা হাদিস সহ ইফতা শিক্ষা দেয়া হয়। এছাড়াও প্রতি বছরেই এখান থেকে উচ্চ শিক্ষা শেষে তাঁরা মুফতি,মাওলানা ও হাফিজ হয়ে বিভিন্ন জেলায় কর্মরত আছেন।