নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (স্টাফ রিপোর্টার) : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সন্ত্রাস ও মাদক রাজ্যের টেররসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত মাস্টার দেলু বাহিনীর সঙ্গে ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশের আবারও গোলাগুলির ঘটনায় মাস্টার দেলু উধাও। শনিবার ২২ অক্টোবর রাত ৯ টায় ফতুল্লা থানাধীণ তল্লা রেললাইন পাঠাগারের সামনে প্রায় ২৫ মিনিটের ওই গোলাগুলিতে উভয় পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় ঘটে। পরে ডিবি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেলুর একজন সহযোগি আনিসকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র ও ইয়াবা। তবে পূর্বের মত ডিবি (গোয়েন্দা বিভাগের) ব্যার্থতায় এবারও পালিয়ে গেছে দুর্ধর্ষ ডাকাত মাস্টার দেলু। এরফলে বিষয়টি বেশ রহস্যের সৃষ্টি করেছে এবং জনমনে উঠছে প্রশ্ন।
নারায়ণগঞ্জ ডিবির ওসি মাহমুদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় তল্লা পাঠাগারের সামনে অভিযান চলায় ডিবির একাধিক টিম। ওই অভিযানে ছিলেন এস আই সেলিম মিয়া, আসাদুজ্জামান, মফিজুল, মনিরুজ্জামান ও নজরুল। ডিবি সদস্যদের উপস্থিতি টেরে পেয়ে সেখানে থাকা দেলু ও তার সহযোগিরা মিলে গুলি ছুড়তে থাকে। ডিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় ঘটে। পরে দেলু পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘটনাস্থল থেকে দেলুর সহযোগি আনিস (৩৫) নামের এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই এলাকার মোশাররফ মিয়ার ছেলে। তার কাছ থেকে ৭ পয়েন্ট ৬৫ বোরের একটি পিস্তল ও ১২শ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাম পায়ে গুলি লাগলে আহত অবস্থায় শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর ভোরে প্রথম দফায় শহরের খানপুর সরদার পাড়া এলাকাতে ডিবির সঙ্গে দেলু বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সেদিনও দেলু পালিয়ে যায়। এরপর দেলুসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা হলেও সে থাকে অধরা। নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ডাকাত সর্দারদের একজন হলো দেলু। অস্ত্র চালানো ও ডাকাতি কাজে পারদর্শী হওয়ায় সে মাস্টার দেলু হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে দুই ডজন মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়।