নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চিংড়ি প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আতাউর রহমান মুকুলের প্রচারণায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর লোকজন এই হামলা করেছেন বলে অভিযোগ মুকুলের। সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মদনপুর স্ট্যান্ডে এই ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে প্রার্থীর প্রচারণায় ব্যবহৃত মাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।
মুকুল বলেন, নিয়ম মেনে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মাধ্যমে মদনপুর ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে মাইকে প্রচারণা চলছিল। এমন সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এমএ রশিদের লোকজন হামলা চালায় এবং মাইকে প্রচারকারী ও অটোরিকশার চালককে বেধরক মারধর করে। হামলাকারীদের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় যুবলীগ কর্মী অহিদ। মারধর ও অটোরিকশা ভাংচুরের পর তারা মাইকটিও ছিনিয়ে নেয়।
আহত দুইজনকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, একই স্থানে গত রোববার সন্ধ্যায় মুকুলের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রার্থীর শ্যালকসহ তিনজন আহত হন।
আতাউর রহমান মুকুল বলেন, বন্দরে নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। আমি এই হামলার বিষয়ে জানি না। আমার কোনো সমর্থক এর সঙ্গে জড়িত নয়।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিতকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।