নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর প্রতিনিধি ) : ঈদের ছুটির পর আবারও পুরোধমে চালু হয়েছে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। ঈদের পর থেকে সিটিতে তেমন কোন ডিমান্ড থাকেনা তাই ঈদে ঘরমুখো মানুষের দূর্ভোগ লাগবে এই পরিবহন গুলো দূরপাল্লায় সার্ভিস দিয়েছে বলে এমনটাই জানিয়েছেন বিআরটিসি বাস ডিপো ট্রেনিং ইনস্টোটেড এর ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাসুদ তালুকদার। গত সোমবার থেকে যথারিতি নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রোডে চলছে এই বাস সার্ভিস। তিনি আরো জানান, এই রোডে শীতল এসি বাস নামানোর পর থেকে যাত্রী কমে গেছে বিআরটিসির। শীতল পরিবহনের চেয়ে টিকেটের দাম কমানো হলেও যাত্রী সংকটে পড়েছে এই পরিবহন।
জানা গেছে, এক সময় ভাল সার্ভিস দেওয়ার কারনে আসিয়ান পরিবহনের নাম ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। পরে এই রোডে বিআরটিসি এসি বাস নামালে আসিয়ান এসি বাস যাত্রী সংকটে পরে। এরপর লোকসান গুনতে থাকলে পরবর্তিতে এই রোড থেকে তুলে নেয়া হয় আসিয়ান পরিবহন। ওই সময় বিআরটিসির বাস গুলো নতুন ও ভাল সার্ভিস দেওয়ার কারনে দিনদিন বাড়তে থাকে যাত্রীর সংখ্যা। আজ এই বাস সার্ভিসের করুন দশা টিকেটের মূল্য কমালেও যাত্রী পাচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রোডে শীতল এসি বাস সার্ভিস যাত্রী সাধারনের মন কেরেছে বলে যাতায়ত করা যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে। ভাল সার্ভিস, ফ্রি ওয়াই ফাই ব্যবস্থা, চেয়ার কোচ তাই দিনদিন যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে এই পরিবহনে। তাই আধুনিকতায় পিছিয়ে পড়েছে বিআরটিসির বাস গুলো। ফলে যাত্রী সংকটের কারনে লোকসান গুনতে হচ্ছে। জানা গেছে, শীতল এসি পরিবহনের চেয়ে বিআরটিসির টিকেটের মূল্য ১০ টাকা কম। খাঁনপুর ও চাষাড়া স্টান্ড থেকে টিকেটের মূল্য ৪৫ টাকা। শিবু মার্কেট ও জালকুড়ি থেকে ঢাকা ৪০ টাকা। শুরুতে এই রোডে বিআরটিসির ২০ টা এসি বাস দিয়ে চালু এই যাত্রীসেবা। বর্তমানে ৮ থেকে ১০ টা বাস চলছে।
যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। দাঁড়ানো যাত্রী সহ মাঝ রাস্তা থেকে যাত্রী উঠানোর অভিযোগ রয়েছে এই সার্ভিসের ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া গরমে এসি চললেও ঠান্ডা লাগেনা এমন অভিযোগ যাত্রী সাধারনের। এমন অভিযোগের পরও কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই সার্ভিসের কমান্ড ভেঙ্গে গেছে। তাই কোন রকম খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে এই সার্ভিস।
তবে আপাঁতত এই সার্ভিস বন্ধ হওয়ার কোন কারন নেই। বাস গুলো মেন্টেনেসের পর আরো আধুনিকায়ন করে কঠোর আইন করে এই সার্ভিস পরিচালনা করা হবে। যাতে মাঝ রাস্তা থেকে যাত্রী উঠাতে না পারে। আর দাঁড়ানো যাত্রীর বিষয়টির ব্যপারে কথা চলছে চাষাড়া পার হওয়ার পর শিবুমার্কেট ও জালকুড়ি থেকে যাতে দাঁড়িয়ে যাত্রী না যেতে পারে। যাত্রীদের সেবা অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে বলে জানান, বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ।