নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আজ বাইশে শ্রাবণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৭তম প্রয়াণ দিবস। রবীন্দ্রনাথের চিত্ত ও শিল্পলোক গভীর ছাপা ফেলেছিল বাউল গান। তার বাউল সংস্কৃতির সাথে প্রাণের যোগ। এ গানের সুর বাণীকে নিজের জীবন দর্শনের সাথে মিলিয়ে নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন তিনি।
সুরের যোগে প্রাণস্পর্শের যে বাউল গান, তা রবীন্দ্রনাথের মর্মে নতুন আত্মদর্শনের জন্ম দিয়েছিল। রবিমানসে গড়ে উঠেছিল স্বতন্ত্র এক বাউল সত্ত্বা। তবে, বাউলের দেহতাত্ত্বাতিক ধারণা নয়, মনের মানুষ আর অচিন পাখিকে খুঁজে চলার নিরন্তর ব্যাকুলতায় ছিলেন তিনি। আর তাই স্বভাবগত ভাবেই মানব হৃদয়সিন্ধুতলে পলে পলে যে নব মহাদেশ গড়ে উঠছে প্রতিনিয়ত তারাই সন্ধান করেছেন রবী ঠাকুর।
প্রতিভাপদ্মের পাপড়ি মেলে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যের নানা শাখায় ঘুরে ফিরেছেন , সৃষ্টির এসব মাধ্যমে বাউল তত্ত্ব ও দর্শনের প্রভাব লক্ষণীয়। উদার মানবিকতা বোধ আর সম্প্রতির চেতনার কারণে বাউল গান রবীন্দ্রনাথে গভীরভাবে স্পর্শ করেছেন।
রবী ঠাকুর লিখেছেন, সাহিত্যের ঐকতানসংগীত সভায়, একতারা যাহাদের তারাও সম্মান যেন পায়। কবিতায় কবিতায় বাউলদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, গভীর নির্জন পথে, কবি আমি ওদের দলে, আমি ব্রাত্য, আমি মন্ত্রহীন।
রবি বাউল মৃত্যুকে শ্যামসমান ভালোবাসতেন। তাই বাঙালি জীবনে বাইশে শ্রাবণ যখন আসে, মৃত্যুর শূণ্যতা নিয়ে ধরা দেয় না, বরং নতুন প্রাণের মন্ত্র জপে দিয়ে যায়।
আহমেদ রফিক, (রবীন্দ্র গবেষক) বলেন, স্বদেশী গানের অধিকাংশ গান কিন্তু বাউলসুরে।