আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর এবং ছাত্রলীগ নেতা হিমেলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা জুলহাস মিয়ার জমি অবৈধ ভাবে দখল নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগটি সত্য নয় বলে দাবি করেছেন জমির বায়না সূত্রে ক্রেতা আনোয়ার হোসেন। তাছাড়া অভিযোগকারী ফতুল্লার সস্তাপুর পূর্বপাড়া এলাকার মৃত হাতেম আলীর ছেলে জুলহাসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে তাঁর স্বজনরাই। ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে এ ঘটনা প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে বিবৃতি দিয়েছেন বায়না সূত্রে ক্রেতা আনোয়ার হোসেন, জুলহাসের বোন গোলবানুর মেয়ে, স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি এলো মুন্সি ও মাদবর।

জমি অবৈধ ভাবে দখল ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মজিবরকে জড়ানো বিষয়ে ওই জমির বায়না সূত্রে ক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ নেতা মজিবর সাহেব এবং ছাত্রলীগ নেতা হিমেল সাহেবকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে! তারা যেন রাজনৈতিকভাবে অগ্রসর হতে না পারে এইজন্য এই চেষ্টা, আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃতপক্ষে জুম ৩১ শতাংশ, যার থেকে ১৮ শতাংশ পান জুলহাস ও উনার মা ছমিরুন নেছা পান ৪ শতাংশ। আর আকি ৯শতাংশ পান গোলবানু যিনি উনারই (জুলহাসের) বোন। তবে তিনি স্বিকার করতে চান না। কিন্তু ওয়ারিশ সার্টিফেকেট দেখলেই সত্যটা বের হয়ে যাবে। আমার পাশে গোলবানুর মেয়ে উপস্খিত আছেন। জুলহাস সাহেব ১৮ শতাংশ বিক্রি করে গেছেন চান মিয়ার কাছে। এভাবেই বিক্রি করতে করতে শেষ ৯ শতাংশ আমি বায়না দিয়েছি। আর এটা নিয়ে ২০১৪ সালে ফতুল্লা থানায় বসা হয়েছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তিতে তদন্ত করে কর্মকর্তারা দেখেছেন জুলহাসের বিষয়াদি সত্যি নয়। এবং সে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে জুলহাস কোন মুক্তিযোদ্ধা নয়। জুলহাস নিজেই জাল পর্চা করেছে, তার প্রমান রয়েছে।

এদিকে স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি এলো মুন্সি জুলহাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানান, এরআগে মসজিদের নামে টাকা উত্তোলন করেছে জুলহাস। আমরা বিভিন্ন সময় তাকে নিষেধ করলেও সে শোনতো না। মসজিদের রিসিট বানিয়ে টাকা আদায় করতো শিল্পপতিদের কাছ থেকে। পরবর্তিতে আমরা তাকে কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে দিয়েছি। এমর নানা অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু সে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্য্ তাছাড়া মজিবর সাহেবের ভাতিজা হিমেল এই জমির বিষয়ে কিছু জানেনা। কারণ সে সময় হিমেল ছোট ছিল।

উল্লেখ্য, ফতুল্লায় দীঘদিন যাবত আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িত রয়েছে মজিবর রহমান। একই সঙ্গে তারই ভাতিজা শাজহরিয়া রেজা হিমেল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত আছে। বর্তমানে জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে হিমেল। স্থানীয়ভাবে পারিবারিক দিক থেকেও সবসময়ই অসহায় মানুষের পাশেও দাড়াতে দেখা গেছে এই পরিবারটিকে। স্থানীয়রা জানিয়েছে সেই সুবাদে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল জুলহাস মিয়াকে ইন্ধন দিয়ে ওই পরিবারটির রাজনৈতিক অবস্থান নষ্ট করার পায়তারা চলছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত