নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ রাইফেলস্ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল ও তার ভাগনি মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক অ্যাড. সুইটি ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মাহমুদা মালা ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ওই স্ট্যাটাসে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানেরও দৃষ্টি কামনা করেন অ্যাড. মাহমুদা মালা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) বিকেল ৪টায় ফেসবুকে ওই পোস্টে মালা লিখেন, মাননীয় সংসদ সদস্য শ্রদ্ধেয় নেতা একেএম শামীম ওসমান মহোদয়। আপনার কাছে বিনীত নিবেদন, যদি আপনার আমার কোন কাজ পছন্দ না হয় আমাকে আপনি ধমক দিতে পারেন চাইলে চড় দিতে পারেন। কিন্তু কুখ্যাত রাজাকার গোলাম রাব্বানীর ছেলে কাজল আমাকে তার ভাগনীকে ও তার সহযোগীকে দিয়ে ২৮/১/২০২০ তারিখে আদালতের দোতলায় আমাকে অপদস্থ করার চেষ্টা করে কিন্তু আমার সিনিয়র ও অন্যান্য আইনজীবীর কারনে দৌড়ে সে পালিয়ে যায়। রাজাকারের বাচ্চা প্রকাশ্যে আদালতে আমাকে পিটানোর হুমকি দেয়। পিপির রুমে ২৯/১ তারিখে দুপুর ১.৩০ মিনিটে সে আমার নাম ধরে কাজল ভাই বলে সে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে দুটা মেয়ে এনেছে মেঘলা আর মনিএবং তল্লার বিপ্লবকে এনেছে আমাকে পিটানো জন্য। যদিও বিপ্লবের সাথে আমার দেখা হয়েছে সে আমার পিছনে পিছনে এসেছে কিন্তু কোন কথা বলেনি।এর আগে ২০১৭ সালে এই কাজল রাইফেল ক্লাবের ভিতরে শিউলি নামে একটি মেয়েকে ঠিক করে আমাকে পিটানোর জন্য। মেয়েটি আমাকে পরে বলে দিয়েছে। তার জোড় সে আপনার বন্ধু। আওয়ামীলীগের মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আমি, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আর পিটায় রাজাকারের বাচ্চা। আমার আত্মহত্যা করা উচিত।
মালা আরো লিখেন, আপনি বঙ্গবন্ধুর সহোচর, ভাষা সৈনিক মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শামসুজ্জোহা সাহেবের সন্তান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদরের ছোট ভাই, আপনি থাকতে আমি রাজাকারের ছেলের হুমকী খাচ্ছি যেটা আমি মানতে পারছিনা, আপনি হয়তো জানেননা মুনতাসির মামুন, রীতা ভৌমিকের বইসহ অনেক বইতে এই রাজাকারের নাম লিপিবদ্ধ আছে। আমি একজন আইনজীবী আমি তার জন্য আদালতে যেতে পারছিনা, আমি জানি আপনি এর বিহিত করবেন। কারণ আপনি একজন দেশপ্রেমিক মানুষ।