নারায়ণগঞ্জ বার্তা ( স্টাফ রিপোর্টার ) : প্রবীণ সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৩ নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ লুৎফর রহমানকে দেখতে আনন্দধামের নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমুর নেতৃত্বে এবার বাড়িতে ছুটে গেলেন সামাজিক সংগঠন আনন্দধামের নেতৃবৃন্দ। ৫ই জানুয়ারি বুধবার বেলা ১ টার দিকে শহরের আল্লামা ইকবাল (কলেজ রোড) রোডস্থ বাসায় গুরুতর অসুস্থ স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেয়া ওই মুক্তিসেনাকে দেখতে যান তারা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আনন্দধামের ভাইস চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মুক্তি, মহাসচিব আব্দুল মান্নান মিয়া, ক্রীড়া পরিচালক খোকন গাজী সহ প্রমুখ। ওইসময় লুৎফর রহমানের পাশে থাকা তার ছোট ছেলে সৈয়দ রিফাত আল রহমান এর কাছ থেকে শারিরীক অবস্থার খোঁজ খবর নেন সংগঠনটির নির্বাহী চেয়ারম্যান হাসিনা রহমান সিমু। এছাড়াও লুৎফর রহমানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি।
জানা গেছে, সৈয়দ লুৎফর রহমান চলতি বছরের গত ১৫ই অক্টোবর শুক্রবার রাত ৯টায় শারীরিক দুর্বলতা ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগতে থাকলে তাকে চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয় হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ভর্তির জন্য কোন সিট খালি না পাওয়ায় ওইদিন রাতে বারান্দায় সাধারণ বেডে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন চিকিৎসক। এরপর সেখান থেকেও রেফার করা হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে। কিন্তু ওইখানকার চিকিৎসকরাও বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে ভর্তি নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। পরবর্তিতে সোহরাওয়ার্দী নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়।
এদিকে, রোগীর অবস্থার অবনতি দেখে সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত প্রো-অ্যাক্টিভ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। তৎক্ষনাত কয়েকটি পরীক্ষা করলে ফুসফুসে ইনফেকশন, ডায়াবেটিস ও ব্রেনজনিত রোগ দেখা দেয়। ৪দিন আইসিইউ বেডে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে গত ১৯ই অক্টোবর তাকে কেবিনে দেয়া হয়। ধারাবাহিক চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণ শেষে গত ২৩ই অক্টোবর আবারো রোগীর বুকের এক্স-রে, রক্ত সহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হলে চিকিৎসক তার অবস্থার উন্নতি দেখতে পেয়ে বাসায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর হাসপাতাল থেকে গত ২৪ অক্টোবর রিলিজ দেয়া হলে বাসায় নিয়ে আসা হয়।
সর্বশেষ, গত ১৩ই ডিসেম্বর সোমবার নারায়ণগঞ্জে অবিস্থত ল্যাবএইড হাসপাতালে দেখাতে নিয়ে গেলে লুৎফর রহমানের দেহের মূত্রনালীতে সমস্যা ধরা পড়ায় তৎক্ষনাত রোগীর বুকের এক্স-রে, ইসিজি ও রক্ত সহ কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলে চিকিৎসক। বর্তমানে মূত্রনালীতে ইউরিনের ব্যাগ এবং শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে এখন বাসায় শয্যাশয়ী রয়েছেন তিনি।