নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নগরীর ইসদাইর এলাকায় জলাবদ্ধ সড়কে বিদ্যুত স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ল নিরজ্ঞন চন্দ দাস (৩৮) নামে এক যুবক। নারায়ণগঞ্জের উনয়নের মডেলের পাশে যেন এক অভিশপ্ত স্থানে পরিনত হয়েছে এখন ইসদাইর এলাকাটি। ডিএনডি বাধের এই জলাবদ্ধতা যেন চিরসঙ্গী। একটু বৃষ্টি হলেই বন্যায় ভাসমান হয়ে যায় পুরো এলাকা। তবে দেখার অনেকই আছে, কিন্তু উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনে নেই কারো উদ্যোগ। আর এর ফলে এ পথে চলাচলকারী চাকুরিজীবী, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রি সহ সাধারণ মানুষ দূর্বিষহ পোহাচ্ছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে খাদে পড়ে যাওয়া সহ নানা র্দূঘটনা, এই সড়কের একটু সামনে এগুলেই যেন হতে হচ্ছে নতুন কোন বিপদের সম্মূখীন। তবে এবার প্রাণ হারালো হিন্দু সম্প্রদায়ের আদরের ৪ বছরের শিশু কন্যার বাবা নিরজ্ঞন চন্দ দাস।
গত ১২ জুন সোমবার দুপুরে ইসদাইর বাজার সংলগ্ন সড়কে বিদুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নিরজ্ঞন চন্দ দাসের এ র্মমান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত নিরজ্ঞন চন্দ দাস একজন ড্রাইং শ্রমিক। তার দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে বাসা থেকে বের হয়ে সবজি কিনার জন্য বাজারের উদ্যেশে রওনা হয়। ইচ্ছা ছিল পরিবারের সদস্যদের সাথে খিচুরি রান্না করে এক সাথে খাবে। ঐ মুর্হুতে তার ছোট মেয়ে বায়না ধরে বাবার সাথে যাবে বলে। কিন্তু কোন মতে বাবা নিরজ্ঞন মেয়ের হাতে ১০ টাকা দিয়ে পরে সাথে নিয়ে বের হয়ে মজা কিনে দিবে বলে আশ্বস্ত করেন। এবং বৃষ্টির মধ্যে বের হলে ঠান্ডা লাগবে বলে তার সাথে বাইরে বের হতে বারন করে। এরপর ইসদাইর বাজার সংলগ্ন সড়কে কিছু দূর এগুলেই একটি তারের খুটির পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে বিদুৎ স্পৃষ্ট হয়।
এসময় অপর একজন পথচারী মিরকি রোগে আক্রান্ত মনে করে তাকে ধরতে গেলে ঐ ব্যাক্তির বৈদ্যুতিক শর্ট অনুভুতি হলে কোন মতে প্রাণে বেঁচে যায়। এরপর একাধিকবার বিদ্যুত অফিসে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা চালালেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। এরপর প্রায় ২০ মিনিট যাবত ইসদাইর এলাকার জলাবদ্ধতা সড়কে বিদ্যুত স্পৃষ্ট অবস্থায় লুটে পড়ে ছিল নিরজ্ঞন চন্দ দাস। পরর্বতিতে প্রায় আধা ঘন্টা পর খবর জানালে বিদ্যুত অফিসের কর্মীরা বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ করে। এবং এলাকাবাসী নিরজ্ঞনকে উদ্ধার করে নরায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় এলাকায় এখনও চরম ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।