নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : অবশেষে ২৯ দিন পর নিজ বাড়িতে লাশ হয়ে ফিরলেন লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হওয়া নারায়ণগঞ্জের যুবক মোহাম্মদ রাশেদ এর মরদেহ। ২রা সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে ফতুল্লার পাগলা নন্দলালপুর বিসমিল্লাহ বেকারী মসজিদ গলিতে নিজ বাড়ীতে তার মরদেহটি নিয়ে আসেন স্বজনরা।
নিহত রাশেদ নন্দলালপুর এলাকার হাফিজুর রহমানের ছেলে। রাশেদের মায়ের নাম লুৎফর নেছা। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাশেদ ছিলো সবার বড়। তিনি লেবাননে ৬ বছর একটি হোটেলে কাজ করেছেন।
এছাড়া মরদেহটি আসার পর মোহাম্মদ রাশেদ মা, ভাই ও বোন সহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন । এ সময় নিকটাত্বীয় ও স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশের বাতার ভারী হয়ে উঠে। খবর পেয়ে রাশেদের বাড়ীতে ভিড় করে প্রতিবেশীরাও। রাতে রাশেদ এর মরদেহটি আসলে জানাজা শেষে রাতেই তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে খবর পেয়ে ২রা সেপ্টেম্বর বুধবার রাতেই মোহাম্মদ রাশেদ এর মরদেহ আসার খবর পেয়ে পরিবারকে সান্তনা দিতে রাশেদের বাড়ীতে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সদর ইএনও নাহিদা বারিক। তিনি সন্তানের শোকে কাতর রাশেদের মা লুৎফর নেছাকে সমবেদনা জানান ও সান্তনা জানান এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এ সময় নাহিদা বারিক নিহত রাশেদের মায়ের হাতে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড ও একটি সেলাই মেশিন তুলে দেন।
এর আগে ২রা সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় মোহাম্মদ রাশেদ এর মৃতদেহ বিমানযোগে শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাশেদের মৃতদেহ এসে পৌছায়। এরপর নিহত রাশেদের পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহ গ্রহন করে রাতে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে।
উল্লেখ্য, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত ৫ আগস্ট ভয়াবহ দুটি বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্যসহ ১০৮ প্রবাসী আহত হন। মারা যান পাঁচজন। বিস্ফেরণ এলাকা থেকে ৪০০ গজদূরে ঝিমাইজি এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন মোহাম্মদ রাশেদ। বিস্ফেরণের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গত ৮ আগস্ট শনিবার দুপুরে জলদ্বীপ এলাকার হারুন হাসপাতালে মৃত তার পাওয়া যায়। আহত বাংলাদেশি প্রবাসীরা দেশটির তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় বিভিন্ন দেশের ১৬০ জন নিহতের পাশাপাশি ৬ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।