নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সাইফুল্লাহ্ মাহমুদ টিটু ) : মায়ের আঁচল সন্তানের জন্য পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়। সেই মা যার নাই, হোক সে ছোট্ট শিশু,কিশোর কিংবা পরিণত বয়সের, তাঁর মত অসহায় কেউ নয়। মাকে হারিয়ে আমিও সেই মর্মপীড়া উপলব্ধি করতে শিখেছি। যে কারণে মা-বাবা হারা এই অবুঝ এতিম শিশু-কিশোরদের মুখে সপ্তাহে একদিন এক বেলা দুমুঠো ভাল খাবার তুলে দিতে পেরে আমি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া আদায় করছি। দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার সফলতায় খাস রহমত এবং বরকত দান করেন। অত্যন্ত আবেগ আপ্লুত এই কথাগুলো বলেছেন আত্ম প্রচেষ্টা এবং নিজ যোগ্যতায় একমাত্র আল্লাহর রহমতে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া নারায়ণগঞ্জ বন্দরের এক দৃষ্টান্ত পুরুষ অ্যাডভোকেট মাজহারুল আলম পাভেল খান।
তিনি দেখতে যেমন সুদর্শন, তেমনি অত্যন্ত সদালাপী ও মিষ্টভাষী। দু:স্থ, অসহায়, বিপদগ্রস্ত ও দরিদ্র জনতার আপনজন হিসেবে এরই মধ্যে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে সম্প্রতি এলাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর অভিভাবক প্রতিনিধি পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে তিনি হয়েছেন নির্বাচিত।
আর এই সম্মানিত পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর বিগত এক/দেড় বছরে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তি, বই, স্কুলড্রেস সংগ্রহসহ শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে তিনি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।
এ সবকিছুর পাশাপাশি প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর বাজারস্থ তাঁর অফিস কার্যালয়ের পাশে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে এলাকার শতশত অনাথ-এতিম শিশু-কিশোরদের মাঝে করছেন উন্নত খাবার পরিবেশন। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ঐ অনাথ-এতিমদের পাশে বসে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এ সময় সমাজের প্রতিটি মানুষের প্রতি স্ব-স্ব সামর্থ্য অনুযায়ী সমাজের এতিম অসহায় দরিদ্র জনতার পাশে থেকে একটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সুন্দর সমাজ গড়ার উদাত্ত আহবান জানান।