নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পদুঘর এলাকায় ২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি ইনডোর বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। ভবিষ্যত বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়ন বিবেচনায় এমপি সেলিম ওসমানের ডিও মোতাবেক প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ অবকাঠামোটি নির্মিত হয়েছে।
২৫ জুলাই বৃহস্পবিার দুপুর ২টায় বন্দর উপজেলা কমপ্লেক্সের অডিটয়িামে এ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এ সময় তিনি বলেন, জনগনের চাহিদা মোতাবেক ভবিষ্যত উন্নয়নের কথা চিন্তা করে সরকারের কাছে চাহিদা পত্র দেওয়া হয়েছিলো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগনের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। এখন এটি ধরে রাখার দায়িত্ব আপনাদের সবার। সারা বাংলাদেশের মধ্যে এই বন্দর উপজেলাই সর্ব প্রথম শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলায় রূপান্তরিত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যেটি উদ্বোধন করেছেন এবং বাংলাদেশের মধ্যেই বন্দরই হবে সর্বপ্রথম উপজেলা যেখানে বৈদ্যুতিক তার মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হবে। এ সাফল্যের পেছনে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আমি তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিদ্যুতের প্রিপ্রেইড মিটার সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমানে যেখানেই যাই সেখানেই মা বোনদের কাছ থেকে শুনি প্রিপেইড মিটার ভাল না, প্রিপ্রেইড মিটার চাই না। উনারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন। আমি বলবো এটি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের একটি অংশ। কোন অবস্থাতে দেশের উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্থ করা যাবেনা। আগে প্রিপ্রেইড মিটার সম্পর্কে বুঝতে হবে। প্রিপ্রেইড মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে অপচয় রোধ করা সম্ভব। পাশাপাশি বিদ্যুতের বিলও সাশ্রয় হবে। এলাকার মানুষের মনে প্রিপ্রেইড মিটার নিয়ে আতঙ্ক রয়েছে সেটি দূর করতে হবে। এ জন্য আমি পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করবো আপনারা প্রিপ্রেইড মিটারের সঠিক ব্যবহার এবং এর সুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে কয়েকটি টিম গঠন করেন। যারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রিপ্রেইড মিটার সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে এবং বিদ্যুৎ ও বিল সাশ্রয় করতে সাধারণ মানুষকে পরামর্শ প্রদান করে সচেতন করবে।
বন্দরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আজকে বন্দর উপজেলা বিদ্যুতে যেমন স্বয়ংসম্পূর্ন ঠিক তেমনি যাদের বাড়িতে অবৈধ গ্যাসের সংযোগ রয়েছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন করে দেন দেখবেন বন্দরবাসী গ্যাসেও স্বয়ং সম্পূন্ন হয়ে যাবেন। অবৈধ সংযোগের কারনে অনেক বাসা বাড়িতে বৈধ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। আর অবৈধ গ্যাস সংযোগে রান্না করা খাবার খাওয়াও হারাম বলে আমি মনে করি। আমি নিজেও যেমন হারাম খাই না ঠিক তেমনি কাউকে হারাম খেতেও দেই না।
নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী সাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাপবিবো নারায়ণগঞ্জ এর নির্বার্হী প্রকৌশলী মশিউর রহমান, বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান এম এ রশিদ, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলার নির্বার্হী কমর্কতা(ইউএনও) পিন্টু বেপারী, নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ-১ সমিতি বোর্ডের সভাপতি তানজিম মোহাম্মদ, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু, নারী ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল প্রধান, ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আহাম্মেদ, বন্দর ইউপি চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, কলাগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার প্রধান প্রমুখ।