নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : চট্টগ্রামে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমান ছিনতাইয়ে চেষ্টাকারী পলাশের মৃত্যুর পর থেকেই গুঞ্জন উঠে ঢাকাই সিনেমার গ্লামারাস নায়িকা সিমলা ছিলেন পলাশ আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রেম থেকে বিয়ে। এরপর পলাশের মানসিক সমস্যা দেখিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। আর সেই ব্যর্থতার আঘাত থেকেই বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টার মতো ঘটনাও ঘটান পলাশ।
২৪ ফেব্রুয়ারি বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পলাশ ও সিমলার বিয়ের বিষয়টি সামনে আসে। এদিকে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় আসেন নায়িকা সিমলা।
১০১ টাকা দেনমোহরে ৮ বছরের ছোট মোহম্মদ পলাশ আহমেদকে বিয়ে করেন সামসুন নাহার সিমলা। বিয়ের হলফনামায় পলাশের জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ১৯৯১ সালের ১ জানুয়ারি। আর সিমলার জন্ম তারিখ উল্লেখ আছে ৪ ডিসেম্বর ১৯৮২। সেই হিসেবে সিমলার থেকে পলাশ ৮ বছর ২৮ দিনের ছোট। বিয়ের কাবিন নামায় পলাশের ঠিকানা দেয়া আছে-মোহম্মদ পলাশ আহমেদ, পিতার নাম-মো: পিয়ার জাহান, মাতার নাম-রেনু বেগম, গ্রাম: দুধঘাটা, পোস্ট: মঙ্গলের গাঁও, থানা: সোনারগাঁ, জেলা: নারায়ণগঞ্জ।
অন্যদিকে সিমলার ঠিকানা দেয়া আছে-সামসুন নাহার সিমলা, পিতার নাম-মৃত. মিয়া আব্দুল মাজেদ, মাতা নাম-নুরুন নাহার, গ্রাম: শৈলকুপা, পোস্ট: শৈলকুপা, থানা: শৈলকুপা, জেলা: ঝিনাইদহ।
নায়িকা সিমলা ও পলাশের প্রথম দেখা হয় যেভাবে। নিজের অভিনীত একটি চলচ্চিত্রের পরিচালকের বাসার একটি অনুষ্ঠানে ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তাদের প্রথম পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালের ৬ মার্চ ঢাকা নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং ওই বছরের ৬ নভেম্বর তাদের বিচ্ছেদ হয়।
বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে চিত্রনায়িকা সিমলা জানান, পলাশ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার কারণেই আমি চার মাস আগে তাকে তালাক দিয়েছি।
রবিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজ ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিল। এরপর চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশের ওই ফ্লাইটটি ১৩৪ যাত্রী ও ১৪ ক্রু নিয়ে জরুরি অবতরণ করে। পরে কমান্ডো অভিযানে সন্দেহভাজন বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী নিহত হয়। কমান্ডো অভিযানে নিহত পলাশ আহমেদের লাশ গ্রহণ করেছেন তার বাবা পিয়ার সরদার। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে পতেঙ্গা থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে পিয়ার সরদার ছেলের লাশ গ্রহণ করেন। এর আগে পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল নারায়নগঞ্জ থেকে পলাশের বাবাকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়।