নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিনিধি ) : শীতলক্ষ্যা পার হাউজিং এর গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল অবস্থা। সংস্কারের অভাবে চলাচলেও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পিচ-খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। তাছাড়া সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে নাকাল অবস্থায় পরিণত হয় এ সড়কটি । এর উপর দিয়েই হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট-বড় অনেক যানবাহন। এতে করে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিদিনই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রণদা প্রসাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে হাটখোলা মোড় পর্যন্ত পুরো রাস্তাটির সংস্কারের অভাবে দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারাই এই পথে চলাচল করছে তারা সকলেই ক্ষোভ প্রকাশ করছে। প্রতিদিনই চাষাড়া থেকে হাটখোলা মোড় হয়ে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত অসংখ্য গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয়ে থাকে এ সড়কটি। কিন্তু রাস্তাটির বর্তমান পরিস্থিতি খুব অবনতি হওয়ার কারনে এ পথে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, এই রাস্তাটিতে দীর্ঘদিনের সমস্যা। কিন্তু দুই মাস আগেই এখানকার ড্রেন নির্মাণের কাজ হয়েছিল। তবে নির্মাণাধীণ অবস্থায় রাস্তাটির দুই প্রান্তে বাঁশ দিয়ে আবদ্ধ করা থাকলেও তা সরিয়ে দেয়ায় এখন নতুন সমস্যা যোগ হলো। কে বা কারা করেছে জানা না থাকলেও এ সমস্যা নিয়ে কারো যেন মাথা ব্যাথা নেই। তাই অল্প বৃষ্টি হলেও রাস্তায় পানি জমে থাকে। আর দিন দিন সড়কে খানা খন্দে আরো ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সকলে।
এ পথে চলাচলকারী এক পিকআপ ভ্যান চালক জানান, এখান দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করাটা খুবই সমস্যা। গাড়ি চালানোর সময় গাড়ি হেলেদুলে চলে মনে হয় এই বুঝি গাড়ি উল্টে পড়ে গেল।
একই কথা ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালকের, তিনি বললেন- আমার গাড়ি যখন হেলেদুলে চলে। তখন অনেকেই মজা করে বলেন, তারা নাকি সমুদ্রের ঢেউ এর উপরে চলছে। তবে তাদের তো সমস্যা হয়ই। আমার গাড়িরও বারোটা বাইজা যায়। তাই ঠেইক্কা এখান দিয়া আসি।
এ বিষয়ে ১৮ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর কবির হোসেন জানান, অনেক টাকা খরচ করে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। যা সবচেয়ে বড় ও গভীরভাবে বানানো হয়েছে। এ ড্রেনটি শীতলক্ষ্যা, পাইকপাড়া ও কাশিপুর ইউনিয়নের ড্রেন গুলো এক সাথে মিলিত হয়েছে। তবে রাস্তাটির জন্য বাজেট পাস হয়নি। আশা করছি সিটি কর্পোরেশনে বাজেট হলেই এ সড়কের বাকি কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।