নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শাহরিয়া রেজা হিমেলের সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি মহল চক্রান্ত করছে এবং সস্তাপুরের নজরুল ইসলামকে তারা হিমেল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের কাজে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন হিমেলের বিরুদ্ধে মানববন্ধনে অংশ নেয়া নজরুল ইসলামের স্বজনরা। বুধবার (১৪ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নজরুল ইসলামের ভাই ফরিদুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম এবং বোন আয়েশা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলামের ভাই ফরিদুল ইসলাম বলেন, নজরুল যেসব অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। ছাত্রলীগ নেতা হিমেল ও তার পরিবারের লোকজন খুবই স্মভ্রান্ত এবং ভালো মনের মানুষ। তাদের এলাকায় বেশ সুনাম রয়েছে। একটি মহল তাদের সুনাম ক্ষুন্ন করতে নজরুলকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে।
নজরুলের অপর ভাই নুরুল ইসলাম বলেন, হিমেলের বাপ চাচারা এ ধরনের লোক না। তারা মানুষের দু:খ দুর্দশায় সব সময় এগিয়ে আসেন। নজরুল যে সকল অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
নজরুলের বোন আয়েশা খাতুন বলেন, আমার ভাই নজরুলের মাথায় সমস্যা রয়েছে। সে পাগল প্রকৃতির লোক। বিয়ে করার পর থেকে বউয়ের পরামর্মে সে একের পর খারাপ কাজ করে যাচ্ছে। বিয়ের আগে তার (নজরুল) সাথে আমাদের পরিবারের লোকজনের সম্পর্ক ভালো ছিলো কিন্তু সে তার চেয়ে বয়সে বড় একটি খারাপ মহিলাকে বিয়ে করেছে এবং এর পর থেকেই সে বউয়ের কথায় সকলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলেছে। সে শাহজামাল মজিবরসহ তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ করেছে তার সবই মিথ্যা ও বানানো। কেউ তার বউকে দিয়ে তার মাধ্যমে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার হিমেল ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে কাফনের কাপড় জড়িয়ে মানববন্ধন করেছিলেন নজরুল ইসলাম ও নাজমা আক্তার দম্পতি। মনববন্ধনে নজরুলের করা সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেছেন তার পরিবারের সদস্যরাই।
এদিকে, কাফনের কাপড় পরে প্রশাসনের সহযোগীতা চাইছেন; দম্পতির এমন কা-ে ফলাও করে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে সংবাদটি। চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় প্রশাসনও করছেন ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত। ১৪ অক্টোবর দুপুরে মো. নজরুল ইসলাম দম্পতির বাড়িতে গিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী। এ সময় ওই ভুক্তভোগী কোন সুনির্দিষ্ট প্রমান দিতে পারেনি।