নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : করতোয়া এজেন্সীর পরিচালক হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেও এখনও সর্ম্পূণ সুরাহ পায়নি ভুক্তভোগী হাজীরা। পবিত্র হজ্বের নামে প্রতারণার নাানা অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য কারণে করতোয়া এজেন্সীর পরিচালক হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মন বিভন্ন সময়ই পার পেয়ে যায়। তবে এবার হজ্ব সেবার নামে প্রতারণার করায় গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার একটি অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগী হাজীরা। এছাড়াও ওইদিন দুপুরে তাকে থানায় আনা হলেও ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী হাজীদের। তবে পুলিশের দাবি দুই পক্ষের সমাঝোতার শর্তে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাতেন বাসায় চলে যায়। কোন গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।
এদিকে পরদিনই হাজীগণ ও করতোয়া এজেন্সীর পরিচালক হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মনকে নিয়ে থানায় এক সমঝোতার বেঠক করে। ওইসময় থানার সামনে ভুক্তভোগী অসংখ্য হাজীদের ভীড় দেখা যায়। প্রায় র্দীঘ ৩ ঘন্টা থানায় চলে এ রুদ্ধদ্বার সমঝোতা বৈঠক। সেসময়ে ওসি আসাদুজ্জামান জানিয়েছিল, সে (করতোয়া এজেন্সীর পরিচালক হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মন) অনেক লোকের সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। তার কাছ থেকে এখনো কোন হাজী ৪০ হাজার পায়, কোন হাজী ৫০ হাজার, এমন করে লক্ষাধিক টাকা পায়। বসে কিছুটা সামারী নোট করা হয়েছে। অনেকের অভিযোগ তাই আবারো বসতে হবে। আগামী সোমবার ইন্সপেক্টর তদন্ত বসবে। কারণ হাজীদের টাকাগুলো দিতে বাতেন সম্মতি পোষন করেছেন। কিন্তু একজন করে দিবে, নাকি একবারে পরিশোধ করবে, সে বিষয়গুলো এখনো পরিষ্কার হয়নি। উভয়পক্ষকে ডাকা হয়েছে এটার বাকি ফয়সালাটা ( ১৬ সেপ্টেম্বর ) সোমবার হবে।
ওইদিনই বৈঠক শেষে বেশ হাসিমুখেই থানা থেকে বের হতে দেখা যায় করতোয়ার এজেন্সি প্রতারক হাবিবুর রহমান বাতেন সায়মনকে। সংবাদকর্মীদের সাথে দেখা হলে বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে ছবি তোলতে দিয়েছেন তিনি পোসও। এসময় সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তার উত্তরও দিয়েছিল অগুছানো। তবে নিরাশায় হাজীরা। কারণ এ নিয়ে হাজীগণ একাধিকবার থানায় আসা যাওয়া করলেও সমাধানের জন্য ঘটেনি এর সমাপ্তি, পাচ্ছেনা স্থায়ী সুরাহ। তাই থানা পুলিশের দিকে তাকিয়ে প্রহর গুনে অপেক্ষা করছে এর সমাধানে ভুক্তভোগী হাজীরা।
অন্যদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুব শিঘ্রই সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন ( ১৬ সেপ্টেম্বর ) থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান। উভয়পক্ষকে ডেকে সোমবার ফয়সালা করার কথা ছিল, এমনটি মনে করে দিয়ে বর্তমানে হাজীদের অভিযোগটি কি অবস্থায় আছে জানতে চাইলে তিনি আরো জানান, শেষ পর্যায়ে আছে। ইন্সপেক্টর তদন্ত বলেছে। আমি একটা হিয়ারিং করে দিয়েছি। এভাবেতো বলা সম্ভব না। শেষ হবে আরকি। টাইম লাগবে, বারবার বলা যাবে না। আপনি মোস্তফাকে (পুলিশ পুরর্দশক, তদন্ত গোলাম মোস্তফা) জিজ্ঞাসা করেন।
তবে এ বিষয়ে আরো জানতে পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফাকে তার ব্যবহৃত নাম্বারে কলা দেয়া হলে সংযোগ স্থাপন না হওয়ায়, তার কাছ থেকে কোন বক্তব্য বা তথ্য জানা সম্ভব হয়নি।
কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক হাজী জানিয়েছেন, রবিাবর ১৫ সেপ্টেম্বর থানায় বসা হয়েছিল। কিন্তু যে রায় সেটা আমি মানি না। আমাদের যে সেবা দেয়ার কথা ছিল তা করতোয়ার বাতেন দেয়নি। তাহলে সে কেন আমাদের টাকা রেখে দিবে। তার কাছে আমাদের চেক রয়েছে। তাছাড়া ৪১ দিনের কথা বলে ৩১ দিন পরেই আমাদের চলে আসতে হয়েছে। তাছাড়া পঁচা, বাসি খাবার আমদের দিয়েছে। একপর্যায়ে খাবার দেয়া বন্ধ হয়ে গেলে আমরা প্রত্যেক্যেই ব্যক্তিগতভাবে খরচ করে দিন পার করেছি। পবিত্র মক্কায় যে ২৫ দিন ছিলাম সেখানেও প্রায় এক হাজার রিয়েল অতিরিক্ত খরচ আমাদের গুনতে হয়েছে। যেহেতু সে আমাদের (হাজীদের) সেবার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করেছে আমরা এর শাস্তি চাই, তাছাড়া হাজীদের ৫০ শতাংশ টাকা ফেরত দেয়া হোক এটাই আমি দাবী করি। এজন্য নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এর হস্তক্ষেপ জরুরী কামনা করি।