নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : সরকার বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ কর্তৃক দায়েরকৃত নাশকতার একাধিক (প্রায় ৫০টি) মামলায় এজাহার ও চার্জশীটে অর্ন্তভূক্ত থাকায় নারায়নগণঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক ও নারায়নগণঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩ নং ওর্য়াড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদকে গত ৩০শে নভেম্বর সাময়িক বহিস্কার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন জারিকালীন সময়ে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কারাগারে আটক ছিলেন। মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় কর্তৃক বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রীট পিটিসন (৮৯৯/২০১৬) দায়ের করেন। গত ৩১.০১.২০১৬ রবিবার মাননীয় বিচারপতি সৈয়দ মোঃ দস্তসীর হোসেন ও বিচারপতি একেএম শাহিদুল হকের দ্বৈত বেঞ্চে দীর্ঘ শুনানী শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপন আগামী দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের পক্ষে শুনানী করেন সুপ্রীম কোটের এপিলেড ডিভিশনের আইনজীবি এড.তৈমূর আলম খন্দকার। তাকে সহায়তা করেন ব্যারিষ্টার মার-ই-আম খন্দকার। ব্যারিষ্টার মারিয়াম খন্দকার জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপন আগামী দুই মাসের জন্য স্থগিত করায় কাউন্সিলর হিসাবে দায়িত্ব পালনে মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের আর কোন বাধা নেই।
উল্লেখ্য যে ইতিপূর্বে গত ১৪/১২/২০১৫ইং বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের বেঞ্চে ১২৯৫০/২০১৫ রীট আবেদন করা হলেও সরকারের পক্ষে ডেপুটী এর্টানী জেনারেলের তীব্র আপত্তির কারণে মাননীয় বিচারপতিদ্বয় রীট খারিজ করে দেন।
মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করেছেন। তিনি ওর্য়াড ও নগরবাসী এবং সংবাদকর্মী ও দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, তারা আমার দুঃসময়ে যে ভাবে পাশে দাড়িয়েছে তার ঋণ কোনদিন পরিশোধ করার মত নয়। তবে আমি সারা জীবন একজন সেবক ও কর্মী হিসাবে তাদের পাশে থাকবো, ইনশাআল্লাহ।