নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব সংবাদদাতা ) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে দাফনের ৫ দিন পর ফাতেমা আক্তার (২৭) নামে বেদে সম্প্রদায়ের এক গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ৫ই আগস্ট শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া ইয়াসমিনের উপস্থিতিতে উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের মহনপুর কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে গত ৩ আগস্ট বুধবার নিহত ফাতেমার মা রোজিনা বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করলে আদালত কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। ফাতেমা মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানার মোল্লাকান্দী এলাকার নোয়াব মিয়ার মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর ধলেরশ্বরী এলাকার সিরাজ মাতবর মিয়ার ছেলে মোর্শেদ মিয়ার সঙ্গে বেদে নোয়াব মিয়ার মেয়ে ফাতেমার বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত ৩০ জুলাই দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মোর্শেদের মামা আকবর মিয়া ফাতেমার এক আত্মীয়কে মুঠোফোনে জানান ফাতেমা অসুস্থ। এর ২ ঘণ্টা পর কল করে জানানো হয়, ফাতেমা মারা গেছেন।
মামলায় আরও বলা হয়, ফাতেমার গলায় আঘাতের চিহ্ন সহ নাক, কান ও গলা দিয়ে তরল পদার্থ দেখতে পান তাঁর মা–বাবা। তাঁরা লাশ দাফনের জন্য মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যেতে চাইলে স্বামী মোর্শেদ, শ্বশুর বাড়ির লোকজন লাশ দিতে অনীহা প্রকাশ করেন এবং তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করেন। পরে ফাতেমার পরিবার আদালতে হত্যা মামলা করলে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। মামলায় ফাতেমার স্বামী, শ্বশুর–শাশুড়িকে আসামী করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা জানান, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবরস্থান থেকে গৃহবধূ ফাতেমার লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার পর ফাতেমার স্বামী ও শ্বশুর–শাশুড়ি পলাতক। তাদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।