নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেছেন, মূলত পারিবারিক কলহের জের ধরেই তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ হত্যাকাণ্ডের ঘাতক হলেন আব্বাস। সকাল ৮টায় ঘাতক আব্বাস এ ঘটনা ঘটান। আব্বাসের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের কারণে জিদ করে আব্বাসের শ্যালিকার বাসায় চলে আসেন তার স্ত্রী । তিনি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সকালে তিনি কারখানায় চলে যায়। শ্যালিকার সঙ্গে আলাপকালে কোনো বিরোধের জের ধরেই তাকে ও তার দু্ইমেয়েকে হত্যা করেছেন ঘাতক। আর আব্বাস তার প্রতিবন্ধী মেয়েকেও জখম করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জে সিআই খোলা এলাকার ছয়তলা একটি ভবন থেকে নিহত মা ও দুই মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এসপি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ঘাতক আব্বাসকে ধরতে অভিযানে নেমেছে পুলিশ। আশা করছি, খুব দ্রুতই হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। নিহতরা হলেন,ভাড়াটিয়া সুমন মিয়ার স্ত্রী নাসরিন (২৮), তার ছয় বছরের মেয়ে নুসরাত ও দুইবছরের মেয়ে খাদিজা।
এ ঘটনায় সুমাইয়া (১২) নামে হত্যাকারীর এক মেয়ে শিশু আহত হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা আলামত সংগ্রহ করেছেন। হত্যাকারীকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।