নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : গলাচিপায় কুড়িপাড়া এলাকা সংলগ্নে স্ত্রীর পরকীয়ার জন্য স্বামী সিরাজের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা নিয়েছে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ। শনিবার ফতুল্লা মডেল থানায় আত্মহননকারীর বোন তাছলিমা আক্তার নিজে বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামী আত্মহননকারীর সিরাজের স্ত্রী রোমানা। বাকি আসামীরা হলো উর্মি, নুরু, সেলিম, কল্পনা করিম, সমা, কাইল্যা ইকবালসহ অজ্ঞাত নামা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আত্মহননকারী সিরাজের স্ত্রী রোমানাকে গ্রেফতার করে হত্যা মামলায় কোটে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ২৫ জুন শনিবার বিকাল ৩ টায় ময়না তদন্ত শেষে সিরাজের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয় সিরাজের বোন তাছলিমা আক্তার বলেন, মৃত্যুর আগে আমার ভাই যার যার নাম উল্লেখ করে গেছেন তাদের সবাইকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা হলো রোমানা, উর্মি, নুরু, সেলিম, কল্পনা করিম, সমা, কাইল্যা ইকবাল সহ আজ্ঞাত নামা উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার বিকালে ময়না তদন্ত শেষে আমার ভাইয়ের লাশ আমাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ডেমরা সারলিয়া এলাকায় তাকে দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয় ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ৭ জন সহ অজ্ঞাত নামা আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে মামলা নং- ৮২। মামলার প্রধান আসামী রোমানাকে গ্রেফতার হয়েছে বর্তমানে সে পুলিশ হেফাজতে এবং বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানায়, গলাচিপা কলেজ রোড চেয়ারম্যান বাড়ী সংলগ্ন এলাকার আশরাফুজ্জামান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া সেলিম দীর্ঘ ৯ বছর যাবৎ স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলো। সেই সাথে স্ত্রী রোমানা বাড়ির নিচ তলায় রংধনু নামে একটি পার্লার পরিচালনা করতো। আর তাকে সহযোগিতা করতো তার আপন দুই বোন। সেই সুবাদে এলাকার বখাটেদের সাথে রোমানা ও তার বোনদের মধ্যে অবৈধ সর্ম্পক গড়ে উঠে। আর তাতে বাধা প্রদান করায় বখাটেদের দিয়ে বিভিন্ন সময় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে সিরাজকে মারধর ও অপমান করতো বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য,২০০৬ সালে চাদঁপুর উত্তর মতলব থানাধীন ছেঙ্গার চর এলাকার মৃত বজলুল মিয়ার মেয়ে রোমানার সাথে দক্ষিন মতলব একলাসপুর এলাকার মৃত মোবারক আলীর ছোট ছেলে সিরাজুল ইসলাম পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।