সেতুমন্ত্রী ও এমপি সেলিম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারী জায়গা দখল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনপুর চৌরাস্তায় সরকারী রেলওয়ের জমি দখল করে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের কার্যালয় নির্মাণ করেছে কথিত আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক মোল্লা এবং ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি জামায়াতের সক্রিয় নেতা মনির গং। গতকাল অভিযোগ পেয়ে সংবাদকর্মীর একটি দল  মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে জানতে পেরেছে,বর্তমান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বন্দর আসনের সুনামধন্য এমপি সেলিম ওসমান এবং মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড,খোকন সাহার ছবি সংবলিত ব্যানার ফ্যাস্টুনকে পুজিঁ করে সরকারী রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে বেদখলে নিতে দুটি দোকান নির্মাণ করেছে মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপি যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন ও ওয়ার্ড  আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক গং।

স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শুক্কুর আলী, যুবলীগ সভাপতি আমানউল্লাহ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ, শ্রমিকলীগের এবাদুল্লাহ, তাতীলীগের আব্দুল হক সহ সকল স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপির নেতাদের সাথে নিয়ে ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক সরকারী জায়গা দখল করে নিরীহ সুলতান মিয়ার লিজকৃত জমিতে অবৈধ কার্যালয় নির্মাণের পক্ষে আমরা কেউ জড়িত নই।

মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম এ সালাম বলেন, সরকারী জায়গায় দলীয় নাম বিক্রি করে যারা অবৈধ কার্যালয় নির্মাণ করেছে তা কোন ভাবেই ঠিক করেনি, আমি কোন দখলদারদের পক্ষে নেই।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তি্যোদ্ধা এম এ রশীদ বলেন সরকারী রেলওয়ের জমি কারও নামে লীজকৃত থাকলে সেই জমি অবৈধ ভাবে বিএনপির কর্মিদের নিয়ে আওয়ামীলীগের নাম বিক্রি করা মারত্নক অপরাধ, আমরা দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদের সহকারী প্রকৌশলী সোহেল মাহমুদ বলে, সরকারী জায়গায় অবৈধ দোকান বা কার্যালয় উঠানোর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়ার পরও রাতের আধারে একটি মহল অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে, অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

কাচঁপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ুম সরকার জানান, আমি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে আসি এবং কাজ না করতে নিষেধ করেছিলাম।তারপরেও যদি রাতের অন্ধকারে দখলদাররা অবৈধভাবে দখল করে থাকে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিল মিয়া বলেন, যারা বিএনপির কর্মীদের নিয়ে আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নিরীহ সুলতান মিয়ার লীজকৃত জমি দখলে নিয়েছে আমি তাদের এই নোংরা কাজে ধিক্কার জানাই।মদনপুরে এই কার্যালয়ের নামে টর্চার সেল তৈরী করে কতিপয় নামধারী পাতি নেতারা সাধারণ মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার করা হয় বলে ও  জানায় স্থানীয় জনগন।

এমতাবস্থায় একজন বিএনপির যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা মিলে বর্তমান আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এমপি সেলিম ওসমান ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের ছবি ব্যবহার করে তাদের নাম বিক্রি করে ব্যানার ফ্যাস্টুন টাঙ্গিয়ে কিভাবে সরকারী জায়গা দখল করে এমনটাই প্রশ্ন সাধারণ জনগনের।

add-content

আরও খবর

পঠিত