সুফিয়ানের লোকদের তান্ডবে ১,২০,০০০ টাকার গরু নিখোঁজ: গরু ব্যবসায়ীদের হয়রানী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নাারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ৩০ বছরের ঐতিহ্য বরফকল হাটে আগত গরু ব্যাবসায়ীদের ১,২০,০০০ টাকার একটি গরু নিয়ে কিছু দুস্কিৃতীকারী লোক পালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এক গরূ ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে যার নং-১৫১, তাং-৩.৯.২০১৬ ইং।

জানা যায়, শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় একটি ট্রলার বোঝাই গরু নিয়ে বরফকাল ঘাটে পৌঁছলে তা নামিয়ে তীরে বাশের সাথে বেধে রাখে। আচমকা কিছু দুস্কিৃতীকারী লোক হাট ভাঙ্গার জন্য পুলিশ আসছে এবং আমরা নাারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের লোক এ কথা বলে শুরু করে অরাজগতা । বিভিন্ন জেলা থেকে গরু নিয়ে আসা বেপারীদের অকথ্য ভাষায় বকাবাজী এবং এক পর্যায়ে বাঁশের খুঁটির সাথে বেধে রাখা গরুর দড়ি চাকু কেটে দেয় । সন্ত্রীদের তান্ডবে এবং হাল্লাচিল্লার কারণে বাঁধন মুক্ত গরুগুলো ভড়কে গিয়ে এদিক সেদিক ছুটা ছুটির করতে থাকে।

এসময় সিরাজগঞ্জ জেলার গরু ব্যবসায়ীদের ১০০ গরুর মধ্যে শফিকুল ইসলাম নামের একজন গরু ব্যবসায়ীর ২ টি গরু ছেড়ে দিলে এর মধ্যে একটি গরু উদ্ধার করেতে সক্ষম হয়। কিন্তু অপর আরও একটি গরূর সন্ধান আর পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

গরু বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানায়, প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমরা এই বরফকল হাটে গরু বিক্রির জন্য এসেছি। কিন্তু এসে শুনতে পাই এবার এখানে হাট বসতে নিষেধ করা হয়েছে। আমরা গরীব মানুষ সুদে টাকা দিয়া, জায়গা, র্স্বণ বন্ধক রাইখা ৩ বৎসর গরুর পিছনে শ্রম দেই, আর এই হাটের অপেক্ষায থাকি। মূর্খ সূর্খ মানুষ আমরা অত প্যাচ বুঝি না। আমরা গরু বোঝাই ট্রলার নিয়া আসলে হাট ভাঙ্গার জন্য পুলিশ আসছে বলে একদল যুবক আসে । তারা  সিটির মালিক সুফিয়ান ভাইয়ের লোক এবং আমরা নাারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের লোক এরকম নানা ভয়ভীতি দেখাইয়া চাকু দিয়ে গরুর দরি কাইটা দেয়। আমরা বিদেশী মানুষ কাউকে চিনিনা তাই তাদের তান্ডবের প্রতিবাদ করতে সাহস পাইনাই। তাদের কারণে আমার একটি গরূ নিখোজ হয়েছে । আমি এই জেলার মালিক ডিসি সাব ও এমপি সাবদের কাছে ন্যায় বিচার চাই আর এই বারের মতো এখানে হাট করার সুযোগ চাই। সাবেরা দয়া করে আমাদের গরীবের দিকে তাকাইয়া শেষ বারের মতো সুযোগ দেন এরপর থেইক্কা আর কোনদিন নারায়ণগঞ্জে হাট করতে আমু না।

তিনি আরও জানায়, আমরা সিরাজগঞ্জ থেকে ১০০ গরুর নিয়া আইছি। এর মধ্যে আমারও দুইটা গরুর দরি চাকু দিয়া কাইটা দেয়। একটা পাইছি , আর একটা অনেক খোজসি পাই নাই। আমার গরুটা সিটি করপোরেশনের লোকেরা নিয়া গেছে। আমি গরীব মানুষ এখন আমি এই গরুর টাকা কেমনে পামু, আমরা হাট ব্যবসায়ীরা কই যামু। আমরা তো আগে জানতাম না যে এই হাট বইতে দিবনা এখানকার মেয়র। আমি এই হাটে ৯ বৎসর ধইরা ব্যবসা করতাছি এখানে ব্যবসা করতে আমাদের কোন সমস্যা হয়না। তাই এইবারও আসছি। কিন্তু আমাগো গরীব মানুষের পেটে লাথি মাইরা কি লাভ পাইবো এই এলাকার মেয়র। আমরা দুই হাত জোড় কইরা তার কাছে অনুরোধ করছি যেন এই হাটটি করে দেয়।

এসময় এলাকবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, নদীর ঐ পার  থেকে মেয়র আইভীর নির্দেশে সুফিয়ানের লোক আইসা আমাদের এলাকার ও ৩০ বছরের ঐতিহ্যের হাটের বদনাম করতে তারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

পরে গরু ব্যবসায়ীরা স্থানীয় ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি চঞ্চল মাহমুদকে বিষয়টি অবগত করেন। এবং তিনি প্রশাসনের সহযোগীতার মাধ্যমে সার্বিক সহযোগীতা করবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন জানিয়েছেগরু ব্যাবসায়ীরা ।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত