নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিনিধি ) : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনের এমপি সেলিম ওসমান। যিনি ওসমান পরিবারের সন্তান। যে পরিবার বরাবরই দাবী করেন তাদের বাড়ি থেকেই আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অথচ সেই আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আর একজন সাংসদের মুখে এমন বেফাস মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বইছে। জেলার নেতারা বলছেন, নৌকা প্রতীককে নিয়ে এমন মন্তব্য কখনোই মেনে নিবে না তারা। সেলিম ওসমানের এ মন্তব্য করে নৌকা প্রতীক, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার প্রতীককে অবমাননা করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়মীলীগের সহ সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া বলেন, সেলিম ওসমান একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার মুখে এমন বক্তব্য কখনোই মানায় না। আজ যে রশিদ সাহেব ও কাজিম সাহেবকে নিয়ে এমন বেফাস মন্তব্য করেছেন। একসময় তো সকল অনুষ্ঠানে তারাই উপস্থিত থাকতো। আজকে নৌকা নিয়ে এমন কথা বলার জন্য থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি রশিদ সাহেব ও সেক্রেটারী কাজিম সাহেবরাই দায়ী। উনারাই এই সাহস দিয়েছেন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে সেলিম ওসমান একসময় তিনবেলা খেতে পারেনি। আজ তাদের অঢেল হয়েছে। আজ তিনি সাংসদ হয়েছে শুধুমাত্র ওই নৌকা প্রতীকের কারণে। কিন্তু কত বড় দুঃসাহস দেখায় নৌকাকে নিয়ে কটাক্ষ করেন। আমরা ওইসব লোক ও সেলিম ওসমানকে ঘৃনা করি যারা নৌকাকে নিয়ে কটাক্ষ করে।তার ভাবা উচিৎ ছিল তার বাবা এই নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করেছেন। তার দাদাও নৌকা প্রতীকের লোকই ছিল। তার ছোট ভাই বর্তমান সাংসদ, দুইবারের র্নিবাচনে তিনিও নৌকা প্রতীক নিয়েই এমপি হয়েছে। এই নৌকা প্রতীক থাকার কারণেই তিনি এখন পাঁচ আসনে এমপি হয়েছেন। তা ভুলে গেলে চলবেনা।
আমি মনে করি, তিনি যেভাবে বলেছেন গাঞ্জার নৌকা তাল গাছে উঠাবেন না। এটা কিভাবে বললেন। নৌকা একটি সম্মানজনক প্রতীক। নৌকা আমাদের তাজ। আমার তো মনে হয়, মঞ্চে যখন বক্তব্য রেখেছেন তিনি নিজেই সুস্থ ছিলেন না।
উল্লেখ্য, গতকাল নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে স্ত্রী নাসরিন ওসমানের নামে ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে সেলিম ওসমান বলেছেন, খুব আনন্দঘন মন নিয়ে আসছিলাম। আমার সাথে তিনজন কাজ করেছেন৷ একজন আমার স্নেহের মুকুল, একজন আমার বন্ধু আবু জাহের, আরেকজন এই উপজেলার চেয়ারম্যান এমএ রশীদ। এই স্কুলের জন্যে ওনারা যথেষ্ট পরিমাণ চেষ্টা করেছেন। ৩ জনের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন, একজন এখানে উপস্থিত আছেন আরেকজন কলাগাছিয়ায় গাঞ্জার নৌকা তাল গাছে উঠাইয়া ফেলতেছেন।
বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশীদকে উদ্দেশ্য করে সাংসদ আরও বলেন, ওনার বুঝা উচিৎ আজকে এটাকে চেয়াম্যান বানালে কযয়েকদিন পরেই থাকবে না। কিন্তু আজকে এই ১২৬৫ জন শিক্ষার্থী আমাদের ভবিষ্যত হবে। কোনো লুটেরাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে আপনার লাভ হবে না। গাঞ্জার নৌকা কখনও তাল গাছ দিয়ে উঠবে না।