নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : হকার ইস্যুতে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরকে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, মামলায় আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতাদের। আজকের দিনটা যদি আওয়ামী লীগের দিন না হয়ে অন্য কোন সরকার ক্ষমতায় থাকতো তাহলে নারায়ণগঞ্জের রাস্তায় এখন এই মামলার কারণে শুধু চাড়া নাচঁতো, অন্য কিছু নাঁচতো না। এই ক্ষমতা নেতাকর্মীদের আছে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই মামলা করা হয়েছে। বলে দাবি করেন শামীম ওসমান।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার লামাপাড়ায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল এমিউজম্যান্ট (নম) পার্কে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২২ মাস ১৮ দিন আগে হকারদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছিলো মেয়রের। আমি কোথাও শুনি নাই মেয়রদের সাথে হকারদের সংঘর্ষ হয়। সেই দিন ওই ঘটনার সাথে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাদের কোন সম্পৃক্ততা ছিলো না। ঘটনা জানতো না কেউই।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি হকার ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার জন্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে দায়ী করা হয়েছে। হামলার ঘটনার দীর্ঘ ২২ মাস ১৮ দিন পর আদালতে মামলা হয়েছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফাহমিদা খাতুনের আদালতে মেয়র আইভীকে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তা জি এম এ সাত্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানাকে এজহার হিসেবে গণ্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় ঘটনার দিন অস্ত্র প্রদর্শনকারী নিয়াজুল ইসলাম খান (৫২), নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম (৪৯), সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল (৪৮), মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু (৪৬), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব (৪২), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন (৩২), যুবলীগ কর্মী নাসির উদ্দিন ওরফে টুন্ডা নাসির (৫২), যুবলীগ নেতা চঞ্চল মাহমুদসহ (৫২) ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত প্রায় ৯০০ থেকে ১০০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল, সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি খোকন সাহান, সহসভাপতি বাবু চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে পূর্বের কমিটির সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল ও সেক্রেটারি এম শওকত আলীর নামই সভাপতি ও সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।