নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নারায়ণগসহ সারাদেশ ব্যাপী সড়ক আইন সংশোধন করে পঞ্চম শ্রেণিতেই লাইসেন্স, মামলা জামিনযোগ্য করাসহ ৮ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন। ২৮ অক্টোবর রবিবার এই ধর্মঘটে যারা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল পরিবহন শ্রমিকেরা গাড়ি আটকিয়ে গাড়ি চালকদের উপর গায়ে কালি পোড়া ইঞ্জিন ওয়েল, আলকাতরা ও কালো কালি লেপন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। ধর্মঘটে যারা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল তাদের মধ্যে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকেও এমন ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় বলে জানা যায়।
নারায়ণগঞ্জের সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রীদের বহন করা বাসে গাড়ি ভাঙচুর ও মহিলা কলেজের ছাত্রী ও বাস চালকের গায়ে কালি লেপন ঘটনা ছাড়াও আরও কয়েকটি স্থানে প্রাইভেটকার ও মোটর সাইকেল চালকদের মুখেও কালি লেপনের বিষয় ছবি ভাইরাল হওয়াতে ফেইসবুকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারন মানুষ।
ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে লিখেছেন, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন অনাকাঙিক্ষত ঘটনার বিচার হওয়া উচিত।
কালি লাগিয়ে দেওয়ার এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাজ্জাদ করিম লিখেছেন, দাবি আদায়ে আরও বিকল্প পথ হতে পারে। কিন্তু এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, সংসদে পাসকৃত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর বিভিন্ন ধারা সংশোধনসহ ৮ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে চলা শ্রমিক সমাবেশ থেকে এ ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৭ অক্টোবর শনিবারের বিক্ষোভ সমাবেশে পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতাহের হোসেন বলেন, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর সারা দেশে পূর্বনির্ধারিত কর্মবিরতি পালিত হবে। যদি এর মধ্যে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারা সংশোধন না করা হয় তাহলে ৩০ অক্টোবর থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হবে।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াজিউদ্দিন খান ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলীর পক্ষে আট দফা দাবি এবং কর্মসূচি সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
লিফলেটে বলা হয়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হয়। ফেডারেশন দীর্ঘদিন ধরে যুগোপযোগী আধুনিক ও উন্নত সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের দাবি করে আসছে। সেই দাবি গুরুত্বসহ বিবেচনায় নিয়ে সরকার আইন পাস করলেও বেশকিছু ধারা শ্রমিক স্বার্থের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। যে কারণে পরিবহন শ্রমিকদের চরম অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে।