নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে একই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষিকা মোর্শেদাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ গ্রহণের মামলাটি বিচারের জন্য জজ কোর্টের বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত -গ অঞ্চলের বিচারক আফতাব উদ্দিন শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
শ্যামল কান্তিভক্তের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন জানান, এ মামলায় শ্যামল কান্তি ভক্ত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আদালত মামলাটি সু-বিচারের জন্য জজ কোর্টের বিচারিক আদালতে প্রেরণ করেছে। হাজিরা শেষে শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেন, আমি এখন আতঙ্কে আছি। আমাকে পরিকল্পিত ভাবে স্কুল থেকে তাড়ানোর জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। এমপি সেলিম ওসমানের মামলাটি যাতে আমি না করি এবং উঠাইয়া নিয়া যাই-এই কারণে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ ব্যপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জানান, ধর্মীয় অবমাননার ঘটনারও আগে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত শিক্ষিকা মোর্শেদার কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছে। এ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা একাধিক সালিশও করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যান্দীতে পিয়ার সাত্তার লফিত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার কটুক্তির অভিযোগ এনে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারিরীকভাবে নির্যাতন, কান ধরে ওঠ বস করানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আর গত বছরের ১৭ জুলাই ওই স্কুলের শিক্ষিকা মোর্শেদা বাদী হয়ে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন।