নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেছেন, প্রতিটি শিক্ষককে শুদ্ধাচার চর্চ্চা করতে হবে। তিনি বলেন একজন আদর্শ শিক্ষকের পক্ষেই সম্ভব একজন আদর্শ মানুষ গড়ে তোলা। শিক্ষকরাই হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। তিনি বলেন একজন ছাত্রকে শিক্ষকরা যেমন পুথিগত বিদ্যায় সুশিক্ষিত করে তুলবে তেমনি ভাবে তাকে সামাজিক শিক্ষা দিতে হবে যাতে ঐ ছাত্র যেনো জীবনে পরিপুর্ন মানুষে পরিনত হতে পারে। তিনি বলেন বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের একটি নতুন শিক্ষা অর্জিত হয়েছে সেটি হলো বেচে থাকার সংগ্রাম কিভাবে করতে হয়? বর্তমান প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা হচ্ছে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষে সামান্য আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোন সমস্যার সমাধান হবেনা। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেনা। তারপরও শিক্ষকতার মহান পেশা নিয়ে টিকে আছে। তিনি বলেন বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের শিক্ষকরা এই করোনা কালীন পরিস্থিতিতে অনেক সামাজিক দায়িত্ব পালন করে উদাহরন সৃষ্টি করেছে। তারাই প্রথম নিজেরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরী করে মানুষের মাঝে বিতরন করে করোনার ভয়বহতার সম্পর্কে জনসচেনতা সৃষ্টি করেছে।এরপর তারা আজকে আরো একটি উদাহরন সৃষ্টি করেছে করোনা পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যে খেলাধুলার আয়োজন করে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না। এই পরিস্থিতিতে বেচে থাকতে হলে আমাদের মনকে প্রফুল্ল রাখতে হবে। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে দেওভোগ ভুইয়ারবাগে অবস্থিত বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে ইনডোর গেমস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাশেম হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শরিফুল ইসলাম, নারায়নগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভনিং বডির সভাপতি চন্দন শীল, নারায়নগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সালাম,অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিডিউটর এডভোকেট আবদুর রহিম, বিদ্যানিকেকেতন ট্রাষ্টির সদস্য মোতাহের হোসেন মাছুম, এডভোকেট নবী হোসেন, আফজাল হোসেন পন্টি, মোয়াজ্জেম হোসেন সোহেল , জাতিীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ট্রাষ্টি সদস্য জাকির হোসেন ও প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা প্রমুখ। পরে প্রধান অতিথি ইনডোর গেমসের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন। বিদ্যানিকেতনের শিক্ষকদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।