শহীদ পরিবারকে রাজাকার বানানোর অপচেষ্টা.
ইউনিয়নবাসীর উপর আস্থা এহসান আহমেদের

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ১৯৭১ থেকে ২০১৬ র্দীঘ ৪৫ বৎসর পর পাকহায়ানাদের হাতে নিহত এক শহীদ ব্যাক্তি কে রাজাকার ও তার পরিবারের সন্তানদের রাজাকার পরিবার হিসেবে আক্ষায়িত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল । ঘটনাটি ঘটেছে গত কয়েকদিন আগে আওয়ামীলীগের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায়। ১৯৭১ সালের ২৭ রমজান বিকাল পাকহায়ানাদের দোসররা রেল লাইন এলাকায় দাঁড়িয়ে বাংঙ্গালী শ্রমিকদের বেতন ভাতা লুটে নিতে শরু করে, ঠিক সে মূহুর্তে  বাসা থেকে মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করতে যাওয়ার পথে পাকহায়ানাদের দোষরদের কতৃক অসহায় শ্রমিক দিন মজুরদের লুন্ঠিত হওয়ার দৃশ্য র্দৃষ্টিতে পড়ে শফি উদ্দিনের। ঘটনাস্থলে গিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান প্রতিবাদের কারণে পাকহায়ানাদের দোসররা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। আসররের নামাজ আদায় করে রোজাদার শফিউদ্দিন বাসায় ফিরছিলেন রেললাইন সড়কে আসা মাত্রই পাকহায়ানাদের একদল আর্মি ও তাদের দোষররা চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ফেলে এবং ধরে নিয়ে গুলী করে নির্মম ভাবে হত্যা করে যে শফি উদ্দিন কে। সে শহীদ শফি উদ্দিন ও তার বংশের সদস্যদের রাজাকার বানিয়ে হীন স্বার্থ আদায়ে চেষ্টা চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল।

Desh Banglaএকসময়ের আলোচিত জাতীয় দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় , পূর্ব ইয়াহিয়ার সামরিক সদস্যদের নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ আর অকথ্য নির্যাতনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের তরুণ ও  কৃর্তী ফুটবলার সমাজকর্মী শফিউদ্দিন আহমেদ শফি ভাই তাদের অন্যতম। ১৯৭২ সালের ২ই ফেব্রুয়ারী তৎকালিন ঢাকা পুলিশের অফিসার ইনচার্জের দেয়া সীলমোহর যুক্ত ও স্বাক্ষরিত ডেঠ সার্টিফিকেট সহ বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল জাহেরর দেয়া  মৃত জনিত সনদপত্র থেকে জানা যায়,  নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার ৯ নং ওয়ার্ডের মৃত জালালউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে শফিউদ্দিন আহম্মেদ ১৯৭১ সালের ১৭ নভেম্বর পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর কাছে নির্মমভাবে নিহত হয়। এঘটনার পর ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছে নবীগঞ্জ এলাকাবাসী।

শহিদ শফিউদ্দিন আহমেদের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানান, আমার বাবা একজন কৃতি ফুটবলার ও সমাজসেবক ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালে সমাজের মানুষের জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়ে পাক হানদারদের গুলি ও র্নিমম র্নির্যাতনের শিকার হয়ে নিহত হয়ে শহিদ হন কিন্তু তারপর কিছু কুচক্রিমহল আমার চাচাত ভাই চেয়ারম্যান এহসানকে সহ আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর কারণ সম্পর্কে তিনি এপ্রতিবেদক কে জানান, তার চাচাত ভাই এহসান উদ্দিন আহাম্মেদ বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের সু যোগ্য চেয়ারম্যান। ২০১১ সালে বন্দর ইউনিয়নবাসী বিপুল ভোটে তাকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেন। এতোদিন চেয়ারম্যান পদে সুনামের সাকে দায়িত্ব পালন করে আসছে । আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়ন বাসীর পক্ষ থেকে এহসান আবার প্রার্থী হবে জেনে উক্ত কুচক্রি মহল টি আবার ও নেমেছে অপপ্রচারে।

এ ব্যাপারে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, বন্দর ইউনিয়নবাসীর উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। পূর্বেও অপপ্রচার কারীদের বিরুদ্ধে আমার ইউনিয়নবাসী জবাব দিয়েছে এবারো দিবে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা অনুযায়ী মে-জুন মাসের আসন্ন বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে ঘিরে কিছু কুচক্রিমহল অযোগ্য হয়েও যোগ্যতার আসনে বসতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। যার কোন প্রকার ভিত্তি নেই। এ যেন প্রকৃত সত্য ঘটনাকে মিথ্যার বালি দিয়ে ঢাকার বৃথা চেষ্টা। গত নির্বাচনে আমাকে ভোটারদের কাছে হেয় করার জন্য এধরনের অপপ্রচার চালিয়ে ছিলো কিন্তু আল্লার রহমতে আমার ইউনিয়ন বাসী ব্যালটের মাধ্যমে সূ-মুচিত জবাব দিয়েছে প্রয়োজনে এবার ও দিবে আর আমি যদি খারাপ কোন কিছু করি তাহলে তারা আমাকে প্রত্যাখান করবে। তবে সত্যের জয় চীরদিনই হয় আর গিবতকারীরা চীরদিন ধ্বংস হয়।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত