শহরের গলাচিপা এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দুইটি ঘর ভূস্মিভূত

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নগর প্রতিনিধি ) : শহরের গলাচিপা কুড়িপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক র্শট সার্কিড থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দুইটি টিনশেড ঘর পুড়ে ভূস্মিভূত হয়েছে। শনিবার ১৫ অক্টোবর মধ্যরাত ২:২০ মিনিটে কুড়িপাড়া এলাকায় আশির্বাদ মিষ্টান্ন ভান্ডারের সত্তাধীকারী সীতারাম এর বাড়িতে এ দূর্ঘটনটি ঘটে। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ১ ঘন্টা নিরলস প্রচেষ্টায় এই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে।

প্রতক্ষদর্শী সীতারাম জানায়, আমাদের ঘরের পাশে অসংখ্য বৈদ্যুতিক তার ঝুলন্তভাবে ঝরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে যার জন্য হঠাৎ বৈদ্যুতিক র্শট সার্কিড থেকে আগুন ধরে যায়। এরপর এই আগুনটি ঘরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে আমরা চিৎকার করলে এলাকাবাসী ও ১৩ নং ওর্য়াড সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থী মো: রবিউল হোসেন ছুটে এসে পানি দিয়ে আগুন নিভাতে সাহায্য করে।

সীতারাম আরও জানায়, আমরা যৌথ পরিবার একত্রিতভাবে এখানে বসবাস করি। ঐ টিনশেড ঘরগুলিতে আমার ছোট বোন তুলসী মোদক, ভাইপুত ও মেয়ে থাকে। আমার ঘরে প্রায় ৫-৬ ভরি স্বর্ণালংকার, ক্যাশ ১০-১২ হাজার টাকা ও নারায়ণগঞ্জ প্রধান ডাকঘরের একটি সঞ্চয়পত্রের কাগজ ছিল যা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।

এসময় ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো: বেলাল উদ্দিন নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ এর প্রতিবেদককে জানায়, বৈদ্যুতিক র্শট সার্কিড থেকে এ অগ্নিকান্ড সংগটিত হযেছিল। এক র্পযায় বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে ঘরটির চালের পাশে থাকা খুটিতে পড়লে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আমরা ও এলাকবাসীর সহায়তায় প্রায় ৩০ মিনিটে এ আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। এর আগে প্রায় ৫০ ভাগ আগুনই এলাকাবাসী নিভাতে সক্ষম হয়। এই এলাকার রাস্তাগুলো সরু হওয়ায় এবং ড্রেন নির্মানের জন্য গলাচিপা রেল লাইন দিয়ে মূল সড়কটি বন্ধ থাকায়। আমাদের আরও একটি গাড়ি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি। যা বঙ্গবন্ধু সড়কে রেখে আসতে হয়েছে। আর যার জন্য আমাদের অনেক সদস্যকে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসতে হয়েছে। আমাদের ২টি ইউনিটের ১৫ জন সদস্য এই কাজে সহযোগীতা করে।

এসময় স্থানীয় অনেকেই ড্রেন নির্মান কাজের জন্য গলাচিপা রেল লাইন দিয়ে মূল সড়কটি বন্ধ থাকায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন প্রায় ৬ মাস হয়ে গেল গলাচিপার এই কাজ আর সম্পন্ন হচ্ছেনা। এ কাজের জন্য আমাদের চলাফিরায় তো ব্যঘাত ঘটছেই আজ হয়তো সঠিক সময়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা না আসেতে পারলে বিশাল কোন বিপদের সম্মূখিন হতে হত।

add-content

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর

পঠিত