নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( প্রেস বিজ্ঞপ্তি ) : গোপাল কৃষ্ণ বাগচীর -বিল বাঘিয়ার প্রান্তরে- কৃষি, সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্রের সেকাল একাল- বইটির তৃতীয় অধ্যায় ২৭১ পৃষ্ঠার এগারোতম বাক্য দিয়েই শুরু করা যাক। এখানে তিনি বলেন, প্রকৃতি চলে আপন নিয়মে। প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে কোন কিছু যখন অসামাঞ্জস্য হয়ে পড়ে তখন তা এমনিতেই বাদ পড়ে যায়। শ্রদ্ধেয় লেখক গোপাল কৃষ্ণ বাগচী বিল বাঘিয়ার প্রকৃতি সৌন্দর্য্য, মাটির টান, রূপ-রসের উপলদ্ধিতে প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য আছে বলেই তিনি বাদ পড়েননি। পড়বেনওনা। বরং নয়নমনি হয়ে থাকবেন তার এলাকায় কৃষি, সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্রময় ধারক-বাহক ও পাঠকদের হৃদয়ে যাদের তিনি তথ্য দিতে এক স্পৃহার প্রান্তর দেখালেন। বিল বাগিচার প্রান্তরে তার লেখা এই বইয়টিতে হৃদয়ানুভূতির দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্খা, জ্বালা-যন্ত্রনা, উত্তেজনা, হাহাকার, পরম পাওয়ার শীতলতা, প্রেক্ষিত ব্যাকুলতা, চোখের কোনে জমা অশ্রু, একাগ্র, নিস্ক্রিয় দীর্ঘ ভাবনা, প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, সহমর্মিতা, কামনা, অভিজ্ঞাতা, আক্ষেপ, আশা জাগানিয়া ও যুব সমাজের দিক নির্দেশণামূলক অনূভূতির লাল পদ্ম ফুটিয়ে তুলেছেন যা বিস্ময়কর বটে।
আশ্চর্য্য লাগে তার ব্যস্ততম কর্মের পাশাপাশি ৪৫৫পৃষ্ঠা সম্বলিত ৪র্থ অধ্যায়ের ২৩টি জীবন ভূমিষ্ঠ ব্যাপারে স্বাধীনতা যুদ্ধ, ধর্ম, দর্শন, কৃষি যোগাযোগ ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক, সামাজিক,পারিবারিক, ছোবেলার স্মৃতি, স্কুল শিক্ষা, মহাপুরুষ, পঞ্জিকা, ইউনিয়ন পরিষদ, নানা পেশাজীবি, গ্রামেরর ব্যাক্তিবর্গ, বর্তমান প্রজন্ম, গ্রামের বিচার শালিস, বরেণ্য ব্যাক্তিবর্গ, দর্শন পরিবেশ, প্রজন্মের ভাবনা, আশা বিভিন্ন বই, পত্রিকার রিপোর্ট ও সংযোজিত ছবি আরো নানান দিক ভালবাসা, ও দায়িত্বশীলতার ইর্ষনীয় বর্হি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন। ছেলে বেলার বেড়ে ওঠার মাটিই তীর্থস্থান হয়। কা অত্যন্ত ধৈর্য্যশীল লেখক তার সাবলিল লেখনির মাধ্যমে নবীনদেকে বুঝিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন মা-মাটি-দেশের প্রতিটি মানুষ একই আশার বন্ধনে আবদ্ধ। পাঠকদের হৃদয়ের জমাটবাধা তন্দ্রাকে নাড়ানি দিয়ে জাগিয়ে তুলেছেন। হারিয়ে যাওয়া সুপ্ত বাসনাকে যে,আমারওতো আছে ছেলেবেলা, আমার জন্মস্থানে কৃষি সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিেেত্রর সেকাল-একাল যা থেকে পেতে পারে নতুন প্রজন্ম একটি তথ্যের ভান্ডার। শ্রদ্ধেয় লেখক গোপাল কৃষ্ণ বাগচীর লেখা -বিল বাঘিয়ার প্রান্তরে- কৃষি, সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্রের সেকাল একাল- বইটি শুধু তার জন্মস্থান রামনগর কলাবাড়ি ইউনিয়ন, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জের জন্যই নয় বরং সারাদেশের মানুষের কাছে একটি তথ্য ভান্ডার, একটি ইতিহাস, একটি উৎসাহ, একটি প্রেরণা, শ্রদ্ধা ও সৃষ্টির উন্মাদনা হয়ে থাকবে।
দেশের এই কৃতি সন্তান লেখক গোাপাল কৃষ্ণ বাগচীর এই বইটি পড়ে মনে হলো তিনি অনেক শক্ত হাতে -পাছে লোকে কিছু বলে- মানসিক শত্রুটাকে গলাটিপে নিজ থেকে বিতাড়িত করেছেন। ছোট বিষয়গুলোর বর্ণণা দিতেও কার্পণতা করেননি তিনি। স্বার্থপরতার বেড়াজাল ডিঙ্গিয়ে প্রতি মা-মাটি-দেশের ভালোবাসা শিকারে স্বার্থক হয়েছেন এবং তিনি মিশে রয়েছেন থাকবেন -বিল বাঘিয়ার প্রান্তরে- কৃষি, সংস্কৃতি ও জীবন বৈচিত্রের সেকাল-একালেও। তার এই বইটি আশা জাগানিয়ার উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে বিশ্বাসী এবং তার আরো নতুন নতুন সৃষ্টিকর্মে পাঠকের হৃদয়ে বেঁচে থাক হাজার বছর। পরিশেষে সব্যচাচী লেখক গোপাল কৃষ্ণ বাগচী তার দীর্ঘ জীবন কামনা করি।